বগুড়ার নন্দীগ্রামে সমিতির সঞ্চয়ের অর্ধকোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি : নন্দীগ্রামে গ্রাহকের সঞ্চয়ের প্রায় অর্ধ কোটি টাকা ফেরত না দিয়ে হয়রানি ও আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে নন্দীগ্রাম একতা সমবায় সমিতির নামে। জানা গেছে, এই সমবায় সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয় ২০১০ সালে। রেজিস্ট্রেশন বিহীনভাবে নন্দীগ্রাম পৌর এলাকার হিন্দু পাড়ায় একটি ফার্নিচারের দোকান থেকে গত ১৫ বছর ধরে পরিচালিত হতো একতা সমবায় সমিতির কার্যক্রম।
বর্তমানে সেই দোকানে গিয়ে সমিতির কাউকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা। দৈনিক, মাসিক বা বাৎসরিক কিস্তিতে অনেকেই এক থেকে ছয় লাখ টাকা সঞ্চয় করেছিল একতা সমবায় সমিতিতে। সম্প্রতি চার শতাধিক গ্রাহকের জমানো প্রায় অর্ধ কোটি টাকা ফেরত না দিয়ে হয়রানি ও আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ওই সমিতির পরিচালক আব্দুর রহিমের বিরুদ্ধে। এদিকে জমানো পুঁজি হারিয়ে মাথায় হাত পড়েছে গ্রাহকদের। বর্তমানে সমিতির পরিচালক আব্দুর রহিম গা ঢাঁকা দিয়েছেন।
ভুক্তভোগী গ্রাহক রতন কুমার বলেন, আমি ওই সমিতিতে প্রতিদিন ১৪০০ টাকা করে জমা রাখতাম। মেয়াদ শেষে সঞ্চয়ের ৬ লাখ টাকা ফেরত চাইলে সে বিভিন্ন ভাবে তাল বাহান করছে। তিনি আরও বলেন, আমার মত অনেকেই ওই সমিতি থেকে সঞ্চয়ের টাকা ফেরত পাচ্ছে না।
এছাড়াও শফিকুল ইসলাম (পত্রিকা বিক্রেতা), হায়দার আলী (কাপড় ব্যবসায়ী) সহ একাধিক গ্রাহক বলেন, আমরা নন্দীগ্রাম পৌর এলাকার মাঝগ্রামের মৃত ভোলা মিয়ার ছেলে আব্দুর রহিম পরিচালিত নন্দীগ্রাম একতা সমবায় সমিতিতে সঞ্চয়ের জন্য প্রতিদিন কিছু করে টাকা জমা রাখতাম। কিন্তু সঞ্চয়ের মেয়াদ শেষ হওয়ার এক বছর পার হলেও সঞ্চয়ের টাকা ফেরত দিতে তাল বাহানা করছেন তিনি।
আরও পড়ুনচা দোকানী ঠান্ডু মিয়া বলেন, আমি উক্ত সমিতি থেকে তিন লাখ টাকা পাবো, দুই বছর হয়ে গেল আমার সঞ্চয়ের টাকা ফেরৎ দিচ্ছে না। আমি টাকা ফেরত চাইলে, আমাকে বলে টাকা কি করবে? ব্যাংকেই তো রাখবে? ব্যাংকে না রেখে আমাদের সমিতিতে ফিক্সড ডিপোজিট করে রাখ, প্রতিমাসে টাকা লভ্যাংশ দিয়ে দিব। গত বুধবার ওই সমিতির পরিচালক আব্দুর রহিমের বিরুদ্ধে সঞ্চয়ের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পত্রিকা বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম শফিক বাদি হয়ে নন্দীগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নন্দীগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এবিষয়ে ফোনে একতা সমবায় সমিতির পরিচালক আব্দুর রহিমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সমিতির কিছু সমস্যার কারনে এমন হয়েছে। ধিরে ধিরে আমি সবার টাকা পরিশোধ করে দিব। এবিষয়ে নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাহারুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন