মেঘনা নদীতে লালু-পিয়াস গ্রুপের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ, শুটার মান্নান নিহত

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনা নদীর একটি অবৈধ বালুমহালের নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে ভয়াবহ গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় প্রতিপক্ষের গুলিতে শীর্ষ সন্ত্রাসী আব্দুল মান্নান ওরফে শ্যুটার মান্নান নিহত হয়েছেন।
আজ সোমবার (২৮ জুলাই) সকালে উপজেলার কালীপুরা সংলগ্ন নদী এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহত আব্দুল মান্নান ওরফে শ্যুটার মান্নান গজারিয়া উপজেলার জষ্ঠীতলা গ্রামের বাসিন্দা নূর মোহাম্মদের ছেলে। গত ১৮ জুলাই বাঘাইয়াকান্দী মাছ বাজারে শর্টগান দিয়ে গুলি চালিয়ে এক মাছ ব্যবসায়ীসহ অন্তত চারজনকে আহত করে পালিয়ে যান তিনি। ওই ঘটনার মামলায় তিনি পলাতক ছিলেন বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, গজারিয়ার গুয়াগাছিয়া ও ইমামপুর ইউনিয়ন সংলগ্ন মেঘনা নদীর একটি অবৈধ বালুমহালের নিয়ন্ত্রণ দীর্ঘদিন ধরে নৌ-ডাকাত নয়ন-পিয়াস গ্রুপের হাতে ছিল। এ বালুমহালের একচ্ছত্র দখল নিতে ইমামপুর ইউনিয়নের প্রতিদ্বন্দ্বী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী লালু গ্রুপ সক্রিয়ভাবে মাঠে নামে।
আরও পড়ুনতারা আরও জানান, সোমবার ভোরে লালু গ্রুপ, নয়ন-পিয়াস গ্রুপকে নদীতে আক্রমণের উদ্দেশ্যে ধাওয়া করে। তখন প্রতিপক্ষ গ্রুপ কিছুটা পিছু হটে। তবে সকাল ৮টার দিকে নয়ন-পিয়াস গ্রুপ শক্তি সঞ্চয় করে একাধিক ইঞ্জিনচালিত ট্রলারযোগে পাল্টা হামলা চালায়। ওই হামলার সময় লালু গ্রুপে শ্যুটার মান্নান গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আহত হন হৃদয় বাঘসহ লালু গ্রুপের আরও কয়েকজন।
গজারিয়া নৌ-পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন, প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত শ্যুটার মান্নানের মরদেহ মেঘনা নদীতে ভাসমান একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তার পরনে ছিল লুঙ্গির নিচে শর্টপ্যান্ট ও গায়ে ছিল নীল রঙের পলো শার্ট।
গজারিয়া থানার ওসি মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, ঘটনার পরপরই নৌ-পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন