রংপুর চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে সাত মামলা দায়ের : দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়

রংপুর প্রতিনিধি : দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয় রংপুর চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত রাজনৈতিক নেতা, উপজেলা চেয়ারম্যান, নির্বাহী প্রকৌশলী, খাদ্য পরিদর্শক, পুলিশ বিভাগের রেশন স্টোর কর্মকর্তা, শিক্ষক ও রংপুর বিভাগীয় হিসাব নিয়ন্ত্রকের নামে সাতটি মামলা দায়ের করেছে।
দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় রংপুর কার্যলয় সূত্রে জানা গেছে, জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ২০ কোটি ৩৭ লাখ ৪৭ হাজার টাকার সন্দেহজনক লেনদেনসহ ঘুষ ও দুর্নীতির অভিযোগে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য আবুল কালামের নামে চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি রংপুর দুদক কার্যালয়ে মামলা করেন দুদক ঢাকা অফিসের সহকারী পরিচালক মিনহাজ বিন ইসলাম।
জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ভোগ-দখলে রাখার অভিযোগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি দুদক রংপুর অফিসের সহকারী পরিচালক বেলাল হোসেন নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আনছার আলী মিন্টুর বিরুদ্ধে রংপুর দুদক অফিসে মামলাটি দায়ের করেন।
স্বাস্থ্যসেবা এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের স্থাপনা মেরামত, রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কারখাতে সরকারি বরাদ্দের ১৩ লাখ ৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সাহাবুল আলমের বিরুদ্ধে ৬ ফেব্রুয়ারি রংপুর দুদক অফিসে মামলা দায়ের করেন রংপুর দুদক অফিসের সহকারী পরিচালক বেলাল হোসেন।
১ কোটি ৮৪ লাখ ৪৭ হাজার টাকার সরকারি সম্পদ আত্মসাতের অভিযোগে রংপুর সদর উপজেলার খাদ্য পরিদর্শক কানিজ ফাতেমার বিরুদ্ধে ২০ ফেব্রেুয়ারি রংপুর দুদক অফিসে মামলা দায়ের করেন রংপুর দুদক অফিসের সাবেক সহকারী পরিচালক ও বর্তমানে দুদক প্রধান কার্যালয়ে কর্মরত উপ-পরিচালক হোসাইন শরীফ।
আরও পড়ুনজ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ভোগ দখলে রাখার অভিযোগে নীলফামারী পুলিশের রেশন স্টোরের ওজনদার শাহানাজ পাভিনের বিরুদ্ধে মামলা করেন চলতি বছরের ৩ মার্চ রংপুর দুদক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক একেএম নুরে আলম সিদ্দিকি।
জাল জালিয়াতির মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধার সনদ ব্যবহার করে সরকারি চাকরি গ্রহণ করার অভিযোগে দুদক’র তদন্তে বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় গত ২৯ মে গাইবান্ধার গোবিন্ধগঞ্জ উপজেলার দামগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আম্বিয়া খাতুনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন দুদক রংপুর কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক ফেরদৌস রায়হান বকসি।
পরস্পর যোগসাজশে ১১ লাখ ৩০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে রংপুর পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের এএসআই মাহমুদুর রহমান ও রংপুর বিভাগীয় হিসাব নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের হিসাবরক্ষক বর্তমানে রংপুরের গংগাচড়া উপজেলার হিসাব কর্মকর্তা মলি রহমানের বিরুদ্ধে গত মাসের ১৮ জুন মামলা করেন রংপুর দুদক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক একেএম নুরে আলম সিদ্দিক।
দুদক রংপুর অফিসের সহকারী পরিচালক বেলাল হোসেন জানান, সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে দুদক কর্মকর্তারা বাদি হয়ে এসব মামলা দায়ের করেছেন। তবে এর বেশিকিছু জানাতে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন।
মন্তব্য করুন