ভিডিও মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫

মেঘনা আলমের ল্যাপটপ-মোবাইলে রাষ্ট্রবিরোধী কিছু আছে কি না তদন্তের নির্দেশ

মেঘনা আলমের ল্যাপটপ-মোবাইলে রাষ্ট্রবিরোধী কিছু আছে কি না তদন্তের নির্দেশ, ছবি: সংগৃহীত।

রাজধানীর ধানমন্ডি থানার প্রতারণা ও চাঁদা দাবির মামলায় আলোচিত মডেল মেঘনা আলমের জব্দ করা পাসপোর্ট, মোবাইল ও ল্যাপটপে রাষ্ট্রবিরোধী কোনো উপাদান আছে কি না তা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে এসব ডিভাইসের মালিকানা যাচাই করে আগামী ৩১ আগস্ট তদন্তকারী কর্মকর্তাকে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলামের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এদিন মেঘনা আলম আদালতে হাজির হন। শুনানিকালে মেঘনা আলম হাতে জায়নামাজ নিয়ে আদালতের কাঠগড়ায় ওঠেন। এরপর মেঘনার আইনজীবী মহসিন রেজা ও মহিমা বাঁধন মেঘনার ম্যাকবুক, ল্যাপটপ, মোবাইল ও পাসপোর্ট ফিরিয়ে দিতে শুনানি করেন। এসময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হারুন অর রশিদ তার বিরোধিতা করে বলেন, এটা অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর মামলা। বর্তমানে মামলাটি তদন্তাধীন। ল্যাপটপ, মোবাইল ব্যবহার করে কোন কোন ব্যবসায়ী, কূটনীতিককে ব্ল্যাকমেইল করতেন তা জানা প্রয়োজন। তদন্তের স্বার্থে এ আবেদন নামঞ্জুরের প্রার্থনা করছি।

তখন মেঘনা আলম আদালতের উদ্দেশে বলেন, আমার সঙ্গে বিভিন্ন রাষ্ট্রদূতের প্রফেশনাল সম্পর্ক রয়েছে। সৌদি রাষ্ট্রদূত ইশা আমাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলেছিল। তার যথেষ্ট প্রমাণ আমার কাছে রয়েছে। আমি প্রমাণ দিতে পারব আমাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলা হয়েছিল নাকি আমি কাউকে প্রেমের ফাঁদে ফেলেছিলাম। তখন বিচারক তার উদ্দেশে বলেন, এখন এটা আলোচনার বিষয় নয়। এরপর মেঘনা আলম বলেন, বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আমার ওপর নির্ভর করে। ছয়টি মহাদেশের ১০টি আন্তর্জাতিক সংস্থায় কাজ করি। আমার ব্যবহৃত ম্যাকবুক, ল্যাপটপ, মোবাইল ও পাসপোর্ট ফেরত চাই। 

আরও পড়ুন

এসময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, তিনি নারীদের নিয়ে কি কাজ করেন তা মামলার এজাহারে স্পষ্ট। তিনি মূলত নারীদের দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করতেন। তখন মেঘনা প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, আপনি রাষ্ট্রদূতকে অসম্মান করছেন। এরপর উভয়পক্ষ তর্কে জড়িয়ে পড়েন। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আমি নিরপরাধ।

এর আগে বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রতারণার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মিস আর্থ বাংলাদেশ-২০২০ বিজয়ী মডেল মেঘনা আলমকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেপ্তার দেখিয়ে গত ১০ এপ্রিল ৩০ দিনের জন্য কারাগারে পাঠানো হয়। পরে তার ৩০ দিনের আটকাদেশ বাতিল করা হয়। গত ১৭ এপ্রিল ধানমন্ডি থানার এ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। গত ২৮ এপ্রিল আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। পরদিন ২৯ এপ্রিল তিনি কারামুক্ত হন।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পৃথক হত্যা মামলার রায়ে নওগাঁয় দুই শিশুর আটকাদেশ

নাটোরের বড়াইগ্রামে জমির মালিকানা দ্বন্দ্বে জামায়াত বিএনপির ৪ জন গ্রেফতার

সিরাজগঞ্জে চাঁদাবাজকে গণধোলাই দিল জনতা

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে মাদকসেবীর ৩ মাস জেল

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে খুচরা সার ব্যবসায়ীর ঘর থেকে ১৩৩ বস্তা টিএসপি সার উদ্ধার

জুলাই সনদের খসড়া বিষয়ে বিএনপি ইতিবাচক: সালাহউদ্দিন