নিউজ ডেস্ক
প্রকাশ : ১০ আগস্ট, ২০২৫, ০৪:১০ দুপুর
ইলিয়াস আলীর সন্ধান চেয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের মিছিল

ইলিয়াস আলীর সন্ধান চেয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের মিছিল
গতকাল শনিবার (৯ আগস্ট) বিকেলে সিলেটের বিশ্বনাথে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, সিলেট জেলার সাবেক সভাপতি, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক, সিলেট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, নিখোঁজ বিএনপি নেতা এম. ইলিয়াস আলীর সন্ধান ও দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারের প্রতিবাদে বিশাল মিছিল, পথসভা করেছে উপজেলা কমিটি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
মিছিলের পূর্বে উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন, পৌরসভাসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা খন্ড খন্ড মিছিল রামসুন্দর অগ্রগামী সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এসো জড়ো হয়। বিকেল ৪টায় রামসুন্দর বিদ্যালয় মাঠ থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী শুরু করে বিক্ষোভ মিছিল।
এ সময় ইলিয়াস আলী ধ্বনিতে মুখরিত হয় গোটা পৌর শহর। মিছিলের নগরীতে পরিণত হয় গোটা পৌর শহর। পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মিছিলটি প্রবাসী চত্বরে গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেছেন, ইলিয়াস আলীর সাজানো বাগানকে কোন অবস্থাতেই ধংস করা যাবেনা। যারা ইলিয়াস আলীকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছেন তারা ইলিয়াস আলীর হাত ধরে চেয়াম্যান/মেম্বার হয়েছিলেন। বিএনপির নেতাকর্মীরা বিশাল মিছিল করে প্রমাণ করেছে বিশ্বনাথের মাটি, ইলিয়াস আলীর ঘাঁটি।
তারা আরো বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষের কান্ডারী তাহসিনা রুশদীর লুনাকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করে সকল ষড়যন্ত্রের দাঁত ভাঙ্গা জবাব দিবে জনগণ।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) গৌছ আলীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. লিলু মিয়ার পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন পৌর বিএনপির সভাপতি হাজী মো. আব্দুল হাই।
সমাবেশে বক্তারা আরও বলেন, তারেক রহমানের নির্দেশনা ছিল বহিস্কৃতদেরকে দলে নেওয়া হবে না। কিন্তু তারেক রহমানের সিদ্ধান্তকে অমান্য করে তারেক রহমানের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ূন কবীর বিশ্বনাথ ও ওসমানীনগরের দলের বহিষ্কৃত নেতাদের নিয়ে সুধী সমাবেশ করলেন কিভাবে সেটা কারোরই বোধগম্য নয়?
এ ব্যাপারে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে হুমায়ূন কবীর দলীয় গঠনতন্ত্র অমান্য করেছেন। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দৃষ্টিগোচরের জন্য বহিষ্কৃতদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হলো। বহিস্কৃতরা হলেন; বিশ্বনাথ উপজেলার পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সুহেল আহম্মেদ চৌধুরী, বালাগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আব্দাল মিয়া ও ওসমানীনগর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান গয়াছ মিয়া, তাজপুরের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ইমরান রব্বানী, লামাকাজী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কবীর হোসেন দলা মিয়া, অলংকার ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নজমুল ইসলাম রুহেল।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি ডাক্তার মাহবুব আলী জহির, যুক্তরাজ্য বিএনপি নেতা জামাল উদ্দিন, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক প্রভাষক মোনায়েম খান, পৌর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সামছুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এমাদউদ্দিন খান চেয়ারম্যান, আব্দুল মোমিন মামুন, উপজেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক শামছুল ইসলাম, যুগ্ম আহবায়ক মুসলিম আলী, যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল লতিফ, নাজিম উদ্দিন পৌর যুবদলের আহবায়ক শাহ আমির আলী, সদস্য সচিব শাহজাহান আলী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আশিকুর রহমান রানা, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক নুরুজামান, সাঈদ আহমদ, নুরুজামান জামান, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক এনামুল হক এনাম, সদস্য সচিব আহমেদ দুলাল মিয়া, উপজেলা কৃষক দলের আহবায়ক ইরণ মিয়া মেম্বার, সদস্য সচিব সুমন মিয়া, উপজেলা শ্রমিক দলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মাসুক আহমদ, মংলা মিয়া, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক হোসাইন আহমদ প্রবেল, সদস্য সচিব ফাহিম আহমদ, যুগ্ম আহবায়ক রাসেল আহমদ, পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক ফখরুল ইসলাম রেজা, সদস্য সচিব জাকির হোসেন ইমন প্রমুখ।
মন্তব্য করুন