ভিডিও রবিবার, ১০ আগস্ট ২০২৫

কেরানীগঞ্জে বসতবাড়ি রক্ষায় মহাসড়কে মানববন্ধন ও অবরোধ

কেরানীগঞ্জে বসতবাড়ি রক্ষায় মহাসড়কে মানববন্ধন ও অবরোধ

কেরানীগঞ্জে ঢাকা ইস্ট-ওয়েস্ট এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের রুট পরিবর্তনের দাবিতে রাজেন্দ্রপুরে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে মানববন্ধন ও অবরোধ করেছে এলকাবাসী।

আজ রোববার (১০ আগস্ট) সকালে ঘন্টাব্যাপী এই মানববন্ধন অবরোধ কর্মসূচিতে গ্রাম বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে সরাও এবং জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও নিজেদের ভিটামাটি রক্ষা করব _এই স্লোগানে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে তেঘরিয়া ইউনিয়নের হাজার হাজার নারী-পুরুষ ও স্কুল- কলেজের শিক্ষার্থীরা।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ঢাকা ইস্ট-ওয়েস্ট এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রস্তাবিত টার্নিং পয়েন্ট স্থাপনের লক্ষ্যে তেঘরিয়া ইউনিয়নের ১০টি গ্রাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে তাদের পূর্বপুরুষদের বসতভিটা, মসজিদ-মন্দির-উপাসনালয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও খেোলার মাঠসহ সর্বস্ব হারাতে হবে। তারা উন্নয়নের বিরুদ্ধে নয় ,কিন্তু উন্নয়ন হবে মানবিক ও পরিবেশসম্মত। মাত্র এক কিলোমিটার পূর্বদিকে সরিয়ে নিলেই তাদের গ্রাম রক্ষা পায় বলে মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা জানান। । এলাকাবাসীরা আরো জানান, সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর প্রিয় প্রাঙ্গনের মত এত বড় ফাঁকা জায়গা থাকতে কেন তাদের বসতভিটা উচ্ছেদ হবে। সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বিপুর প্রিয় প্রাঙ্গন বাঁচাতেই বসতভিটার উপর দিয়ে রাস্তার পরিকল্পনা করেন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার।

বাঘৈর নগরের স্থানীয় বাসিন্দা আল ইমরান বলেন, গত ১৫ বছরে শুধুমাত্র তেঘরিয়া ইউনিয়ন থেকে শত শত একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে, যা চরম অন্যয়। তেঘরিয়া ইউনিয়নে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, কেন্দ্রীয় কারাগার, প্রিয় প্রাঙ্গন, ঝিলমিল আবাসিক, সাউথ টাউন, র‍্যাব-১০,মায়াকানন, আমর্ড পুলিশ—প্রতিটি প্রকল্পে জমি দেয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন

ঢাকা জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক জুয়েল মোল্লা বলেন, প্রস্তাবিত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বর্তমান নকশা বাস্তবায়িত হলে গ্রামটির শত শত বছরের বসত বাড়ি ধ্বংস হয়ে যাবে। তেঘরিয়া ইউনিয়ন শুধু একটি গ্রাম নয়, এটি একটি ঐতিহ্য। এখানে হাজারো মানুষের জীবন-জীবিকা জড়িত। এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে কেউই ঘরবাড়ি নিয়ে টিকে থাকতে পারবে না। তাই সরকারকে বলবো—মানুষ নয়, রুট পরিবর্তন করুন।

বিএনপি নেতা সেলিম মোল্লা বলেন, আমাদের বাপ-দাদার চৌদ্দ পুরুষের ভিটেমাটি আমরা অধিগ্রহণ করতে দেব না। জীবন দিব তবু জমি দেব না। সরকারের কাছে আমাদের আকুল আবেদন সরকার যেন এই প্রকল্পটি সরিয়ে অন্যত্র নিয়ে যান।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সিলেটে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে স্বামী-স্ত্রীসহ একই পরিবারের দগ্ধ ৫জন

ইসির প্রাথমিক বাছাইয়ে উত্তীর্ণ এনসিপিসহ ১৬ দল

ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২০ নারী ফুটবল দল

ঋণের কিস্তির টাকা না দেওয়ায় হাত-পা বেঁধে বাবাকে হত্যাচেষ্টা

জয়পুরহাট সরকারি কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা

গত জুলাই মাসে কুমিল্লায় মোট মামলা ৪৭৫টি