ভিডিও শুক্রবার, ২২ আগস্ট ২০২৫

ল্যাম্প পোস্টের লাইন সংযোগের ক্যাবল চুরি অন্ধকারে স্বপ্নের ‘মওলানা ভাসানী সেতু’

ল্যাম্প পোস্টের লাইন সংযোগের ক্যাবল চুরি অন্ধকারে স্বপ্নের ‘মওলানা ভাসানী সেতু’

সুন্দরগঞ্জ(গাইবান্ধা) প্রতিনিধি : গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে ল্যাম্প পোস্টের সাথে লাইন সংযোগের ক্যাবল চুরি হওয়ায় অন্ধকারে তিস্তা নদীর ওপর নবনির্মিত স্বপ্নের ‘মওলানা ভাসানী সেতু’। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলাধীন পাঁচপীর বাজার- কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলা সদর দপ্তরের সাথে সংযোগ রক্ষাকারী তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত মওলানা ভাসানী সেতু ২০ আগস্ট উদ্বোধন  করেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

জানা যায়, হরিপুর তিস্তা সেতু নির্মাণ কাজের অংশ হিসেবে সেতু ও সেতুর উভয় পাশে ল্যাম্প পোস্ট স্থাপন করা হয়। সেতু উদ্বোধনের বেশ কয়েকদিন আগে ল্যাম্প পোস্টের সাথে ক্যাবল সংযোগ করে জেনারেটর দিয়ে টেস্টিং সম্পন্ন করা হয়। পরে পল্লীবিদ্যুৎ তাদের বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়।

বিদ্যুৎ সংযোগের পর ল্যাম্প পোস্টের লাইটগুলো না জ্বলার কারণ খুঁজে না পাওয়ায় সেতু উদ্বোধনের পরও রাতে অন্ধকারে নিমজ্জিত থাকে সেতু ও সেতু এলাকা। অবশেষে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অনুসন্ধানে ধরা পড়ে আন্ডার গ্রাউন্ডের ৩১০ মিটার ক্যাবল কে বা কারা চুরি করে নিয়ে যায়। যার মূল্য প্রায় সাড়ে ৬ লাখ টাকা। এর ফলে দীর্ঘতম এ সেতু অন্ধকারে নিমজ্জিত থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছে যানবাহনসহ পথচারীরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে, উপজেলা প্রকৌশলী তপন কুমার চক্রবর্তী বলেন, ল্যাম্প পোস্টের সাথে ক্যাবল সংযোগ করে জেনারেটর দিয়ে টেস্টিং সম্পন্ন করার পর পল্লীবিদ্যুৎ তাদের বৈদ্যুতিক লাইন সংযোগ দেয়। সেতু উদ্বোধনের আগের দিন দেখা যায়, লাইটগুলো জ্বলছে না। বৃহস্পতিবার সন্ধায় জানতে পারি ক্যাবল চুরি হয়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, জেনারেটর দিয়ে টেস্টিং এবং বিদ্যুৎ সংযোগের মধ্যবর্তী কোন এক সময়ে ক্যাবল চুরির ঘটনা ঘটেছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে থানায় জিডি করতে বলেছি।

আরও পড়ুন

এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, দেশের মধ্যে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ১ হাজার ৪৯০ মিটার দীর্ঘ এই সেতুটি একটি বৃহত্তম প্রকল্প। এলজিইডির সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও সৌদি ডেভেলপমেন্ট ফাউণ্ডেশনের অর্থায়নে চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না স্টেট কন্সট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন তিস্তা পিসি গার্ডার সেতুটি নির্মাণ করেছে।

জমি অধিগ্রহণ, মূল সেতু ও সংযোগ সড়ক নির্মাণ, উন্নত লাইটিং ব্যবস্থা, সম্প্রসারণ এবং নদী শাসনসহ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৯৮৫ কোটি টাকা। সেতুটিতে ২৯০টি পাইল, ১৫৫টি গার্ডার, ৩০টি পিলার, ২৮টি স্প্যান বসানো হয়েছে, সেতুর দুই পাশে সাড়ে ৩ কিলোমিটার করে নদী শাসন এবং ৮৬ কিলোমিটার দীর্ঘ সংযোগ সড়কে ৫৮ টি ব্রিজ-কালভাট নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া অধিগ্রহণ করা হয়েছে  ১৩৩ একর জমি।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ ৭ দাবি ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের

যমুনা নদী ভাঙন রোধে স্থায়ী মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে- প্রধান প্রকৌশলী, পাউবো

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার হিজড়া মালেকা বোঝা নন, ছাগল পালনে স্বাবলম্বী

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে কৃষকের জমির বীজতলা কীটনাশক দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা

বগুড়ার ধুনটে জমি নিয়ে দ্বন্দ্বে ৪ জন আহত

বগুড়ায় আবিদুর রহমান সোহেল ফুটবল টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন