হাঁটতে না পারা স্ত্রীকে শহর দেখানোর জন্যই রিকশার আবিস্কার

'রিকশা' শব্দটি এসেছে জাপানি 'জিন্রিকিশা' শব্দ থেকে। যেখানে জিন্ অর্থ মানুষ, রিকি অর্থ শক্তি এবং শা অর্থ বাহন। শব্দগুলোকে যোগ করলে রিকশার আভিধানিক অর্থ দাঁড়ায় মানুষের শক্তিতে চলা বাহন বা মানুষ চালিত বাহন। তবে শুরুর দিকে কোন রিকশাই তিন চাকার ছিল না। সেগুলো মূলত দুই চাকায় ভর করে চলতো এবং সামনে ছিল লম্বা হাতল। এই হাতল ধরে একজন মানুষ ঠেলাগাড়ির মতো হেঁটে বা দৌড়ে এই রিকশা টেনে নিতেন। সে সময় 'রিকশা' বলতে এ ধরনের হাতে টানা রিকশাকেই বোঝানো হতো। পরে দুই চাকার রিকশার ডিজাইন তিন চাকার রিকশায় বিকশিত হয়।
রিকশা আবিষ্কারের সঠিক ইতিহাস নিয়ে এমন অনেক মতভেদ আছে।
তবে শুরুর দিকে কোনো রিকশাই তিন চাকার ছিল না। সেগুলো মূলত দুই চাকায় ভর করে চলতো এবং সামনে ছিল লম্বা হাতল। এই হাতল ধরে একজন মানুষ ঠেলাগাড়ির মতো হেঁটে বা দৌড়ে এই রিকশা টেনে নিতেন। সে সময় ‘রিকশা’ বলতে এ ধরনের হাতে টানা রিকশাকেই বোঝানো হতো। পরে দুই চাকার রিকশার ডিজাইন তিন চাকার রিকশায় বিকশিত হয়।
জোনাথন ধর্ম প্রচারের কাজে জাপানের ইয়োকোহামা শহরে থাকতেন। তার স্ত্রী এলিজা গোবলে হাঁটতে চলতে পারতেন না। স্ত্রীকে ইয়োকোহামা শহর ঘুরিয়ে দেখাতে স্কোবি ১৮৬৯ সালে দুই চাকার সামনে হাতলবিশিষ্ট বাহনের নকশা আঁকেন এবং কাঠ দিয়ে তৈরি করেন। সেই বাহনের নাম তিনি দেন জিনরিকশা। যা কালের বিবর্তনে রিকশা নামেই পরিচিতি পায়।
দুই চাকার এই হাতে টানা বাহনটি রিকশার প্রাথমিক সংস্করণ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের পেটেন্ট নিবন্ধন পায়। তারপর সেটির অনুকরণে জাপানে এই বাহনটি নির্মাণ শুরু হয়। তবে এটি কোনো মানুষ পরিবহনে নয়, বরং ব্যবহৃত হতো মালপত্র পরিবহনের জন্য। আবার এমনটাও বলা হয় যে, ১৮৮৮ সালে একজন মার্কিন ব্যাপ্টিস্ট রিকশা আবিষ্কার করেছেন।
আরও পড়ুনউইলিয়াম ই লুইসের ‘থ্রু দ্য হার্টল্যান্ড অন ইউএস’ বইয়ে বলা হয়েছে, রিকশা আবিষ্কার হয়েছিল ১৮৪৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসের ওরচেস্টারে। সেখানকার এক কামার অ্যালবার্ট টোলম্যান দক্ষিণ আমেরিকান মিশনারীর চলাচলে সুবিধার জন্য রিকশাটি আবিষ্কার করেছিলেন বলে জানা যায়।
আবার বার্লিংটন কাউন্টি হিস্ট্রিকাল সোসাইটির গবেষণায় বলা হয়েছে, মার্কিন গাড়ি নির্মাতা জেমস বার্চের জাদুঘরে এ ধরনের একটি রিকশার মডেল প্রথম প্রদর্শন করতে দেখা যায়। সেটাও ১৮৬৭ সালের দিকে। বার্চ দাবি করেছিলেন, এটি তার ডিজাইন করা বাহন।
সূত্র : বিবিসি
মন্তব্য করুন