ঠাকুরগাঁওয়ে সাত মাসে ২২০ জনের অস্বাভাবিক মৃত্যু

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বেগুনবাড়ি গ্রামের কিশোর হাফিজুর রহমান (১৬)। পরিবারের একমাত্র সন্তান। পড়াশোনার পাশাপাশি হাফিজুর স্থানীয় মসজিদে হাফেজি পড়ত। মায়ের সাথে অভিমান করে একদিন ঘরে রাখা ঘাস নিধনের বিষ খেয়ে ফেলে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত বাঁচানো যায়নি তাকে।
ঠাকুরগাঁও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জিআরও শাখার তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি থেকে ১৭ আগস্ট পর্যন্ত জেলায় আত্মহত্যা, সড়ক দুর্ঘটনা, পুকুর পানিতে ডুবে মারা গেছে ২২০ জন মানুষ। থানা ও উপজেলা ভিত্তিক অস্বাভাবিক মৃত্যুর হিসাব বলছে পীরগঞ্জে ৫৮ জন, ঠাকুরগাঁও সদরে ৫৩ জন, রাণীশংকৈলে ২৮ জন, বালিয়াডাঙ্গীতে ২৭ জন, হরিপুরে ২১ জন, ভুল্লি থানায় ২২ জন ও রুহিয়া থানায় ১৪ জন।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের জিআরও ফরিদ উজ্জামান বলেন, এই আত্মহত্যাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মানুষ ফাঁস দিয়ে জীবন শেষ করেছেন। প্রেমে ব্যর্থতা, বাবা-মায়ের প্রতি অভিমান, দারিদ্র্য, ঋণগ্রস্ততা ও পারিবারিক কলহই এ অঞ্চলে আত্মহত্যার প্রধান কারণ।
আরও পড়ুনঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের একজন চিকিৎসক বলেন, অনেক রোগী আত্মহত্যার চেষ্টা করে হাসপাতালে আসে। কিন্তু সামাজিক লজ্জার ভয়ে পরিবারগুলো বিষয়টি গোপন রাখে। এতে প্রকৃত সংখ্যাটা আরও বেশি হতে পারে।
ঠাকুরগাঁও জেলা হাসপাতাল বা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেই কোনো মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ। বিষন্নতা, মানসিক চাপ কিংবা আত্মহত্যা প্রবণ রোগীরা পাচ্ছেন না কোনো বিশেষায়িত চিকিৎসা।
মন্তব্য করুন