ভিডিও মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট ২০২৫

যেমন আছেন ‘রূপনগর’-এর সেই মিজানুর রহমান

মিজানুর রহমান। ছবি ঃ অভি মঈনুদ্দীন

অভি মঈনুদ্দীন ঃ বাংলাদেশের নাট্যপ্রেমী দর্শকের বিটিভিতে প্রচারিত তুমুল জনপ্রিয় ধারাবাহিক নাটক ‘রূপনগর’র কথা নিশ্চয়ই এখনো মনে আছে। যে সময়কালে ‘রূপনগর’ বিটিভিতে প্রচার হতো সেই সময়কালের অনেক দর্শক এখনো জীবিত আছেন, তাদেরতো মনেই থাকার কথা। আবার প্রজন্মের পর প্রজন্ম গল্পে গল্পে ‘রূপনগর’ নাটকের কথাও জানার কথা।

শেখ রিয়াজ উদ্দিন বাদশা নির্দেশিত ও ইমদাদুল হক মিলন রচিত ‘রূপনগর’ নাটকের তিনটি চরিত্রে অভিনয় করে বেশ আলোচনায় এসেছিলেন প্রয়াত গুণী অভিনেতা খালেদ খান, রফিকুল্যাহ সেলিম ও মিজানুর রহমান। খালেদ খানের মুখে ‘ছি ছি তুমি এতো খারাপ’, রফিকুল্যাহ সেলিমের মুখে ‘শাইম্মা হালায়’ ও মিজানুর রহমানের মুখে ‘ফুটা কইরা দিমু’ সংলাপটি নব্বই দশকে নাটকে জনপ্রিয় হয়ে উঠা সংলাপ ছিলো। সেই মিজানুর রহমানকে এখনো দর্শক মাঝে মাঝে নিজের অজান্তে খুঁজে বেড়ান। কুমিল্লার সন্তান মিজানুর রহমান উচ্চমাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হবার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিষয়ে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। ছোটবেলা থেকেই স্কুলে স্বাধীনতা দিবসে আয়োজিত অনুষ্ঠানে নাটকে অভিনয় করতেন তিনি। ১৯৮৩ সালে ঢাকায় আসার পর তিনি ‘ঢাকা পদাতিক’ নাট্যদলে যোগ দেন। সেই থেকে এখন পর্যন্ত এই দলের সাথেই যুক্ত আছেন। এই দলের তিনি সর্বশেষ সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। মিজানুর রহমান বর্তমানে ‘পথ নাটক পরিষদ’-এরও সভাপতি। ‘ঢাকা পদাতিক’র হয়ে তিনি মঞ্চে রাক্ষস খুক্ষস’,‘ ইন্সপেক্টর জেনারেল’,‘ গণি মিয়ার একদিন’,‘ এই দেশে এই বেশে’, ‘আমিনা সুন্দরী’,‘ সক্রেটিসের সন্ধানে’,‘ নীল দর্পণ’,‘ এখন করবো টা কী’,‘ চুরি কেইস’,‘ ফেরা’সহ আরো বেশকিছু নাটকে অভিনয় করেন। ১৯৮৯ সালে ‘শুভ বিবাহ’ নাটক ছিলো তার অভিনীত প্রথম টিভি নাটক। এতে তিনি ফেরদৌসী মজুমদারের ছোট ভাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। এরপর তিনি ধারাবাহিক নাটক ‘বারো রকমের মানুষ’-এ অভিনয় করেন।

আসাদুজ্জামান নূর অভিনীত ‘কোথাও কেউ নেই’ নাটকটি যখন জনপ্রিয়তার তুঙ্গে এবং এই নাটক শেষ হবার পরও যখন দর্শকের মধ্যে তুমুল আলোচনায় সেই সময়েই প্রচারে এলো খালেদ খান অভিনীত ‘রূপনগর’ ধারাবাহিক নাটকটি। এই নাটকে অভিনয় করেই আলোচনায় আসেন মিজানুর রহমান। এরপর তিনি ‘সারাবেলা’,‘ উঠান’সহ আরো বেশকিছু নাটকে অভিনয় করেন। তবে ‘ঢাকা পদাতকি’র সাংগঠনিক কাজেই বেশি ব্যস্ত হয়ে উঠায় টিভি নাটকে খুব বেশি সময় দেয়া হয়ে উঠেনি তার। মঞ্চেও তিনি কয়েকটি নাটক নির্দেশনায় দিয়েছেন। তারই মঞ্চ ব্যবস্থাপনাতেও কয়েকটি নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে।

আরও পড়ুন

মিজানুর রহমান বলেন,‘ যেহেতু আমি মঞ্চ নাটকে প্রথম কাজ শুরু করি সে কারণে একটা সময়ে এসে আমি দলের সাংগঠনিক কাজে বেশি যুক্ত হয়ে যাই। ঢাকা পদাতিকের বয়স এখন ৪৬। দল ভালোবেসে আমাকে যে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং আমি যে অবস্থানে পৌঁছেছি এ কারণে দলের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। অভিনয় করে দর্শকের যে ভালোবাসা পেয়েছি আমি, তাতেও ধন্য আমি।’ মিজানুর রহমানের স্ত্রী ফারজানা মালিক নিম্মি একজন আবৃত্তি শিল্পী। 

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ডাকসু নির্বাচনে বাড়ছে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ, আচরণবিধি মানা নিয়ে প্রশ্ন

২৩০ বিচারক বদলি

হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারক হলেন সারজিস আলমের শ্বশুর

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে ৬ লাখ টাকাসহ বিকাশ কর্মী নিখোঁজ

ডাকসু নির্বাচনে পোস্টার-ব্যানার নিয়ে কঠোর নির্দেশনা

কুড়িগ্রামের উলিপুর পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি গ্রেফতার