নওগাঁর রাণীনগরে অটোচালকদের স্বেচ্ছাশ্রমে মাটির রাস্তা সংস্কার

নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর রাণীনগরের নিজেদের চলাচলের সুবিধার্থে আজ শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) স্বেচ্ছাশ্রমে খানাখন্দকে ভরা মাটির রাস্তা সংস্কার করেছে মিরাট অঞ্চলের অটোচার্জার ভ্যানচালকরা। জানা যায়, উপজেলার জামালগঞ্জ বাজার থেকে মিরাটের বিল মুনছুরের মধ্যদিয়ে সদর উপজেলার শৈলগাছী পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার রাস্তা। রাস্তাটির কিছু অংশ পাকা আবার কিছু অংশ ইট বিছানো। এরমধ্যে হরিশপুর-মিরাট-নয়াহরিশপুর ৪ কিলোমিটার রাস্তা মাটির।
শুষ্ক মৌসুমে রাস্তা দিয়ে চলাচল করা গেলেও বর্ষায় রাস্তাটি পানি ও কাদায় একাকার হয়ে যায়। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় গ্রামের কৃষক, ভ্যানচালক, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ীসহ হাজার হাজার মানুষের। প্রতিদিন এলাকার কয়েক হাজার মানুষ এ রাস্তা দিয়ে রাণীনগর উপজেলা, নওগাঁ, রাজশাহীর বাগমারাসহ বিভিন্ন গন্তব্যে যাতায়াত করে।
স্থানীয় অটোচার্জার ভ্যানচালক ইদ্রিস আলী বলেন, রাস্তাটি লাল মাটির হওয়ায় একটু বৃষ্টিতেই কাদা হয়ে যায়। ফলে পথচারীসহ চলাচলকারী যানবাহনগুলোকে ভোগান্তির শিকার হতে হয়। এছাড়া বড় বড় ঢেউয়ের মতো উচু-নিচু গর্তগুলোতে যাত্রীসহ ছোট ছোট চার্জারভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহন উল্টে যায়। তাই বাধ্য হয়ে নিজেরা রাস্তাটি মেরামত করছেন তারা। জনদুর্ভোগ নিরসনে রাস্তাটি পাকাকরণ এখন সময়ের দাবি বলে জানান তিনি।
স্থানীয় বাসিন্দা রাসেল সরকার জানান, শুষ্ক মৌসুমে চলাচল করা গেলেও বর্ষায় হাঁট পরিমাণ কাদা ভেঙে চলাচল করতে হয়। রাস্তা খারাপ হওয়ায় কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। বর্ষায় বিকল্প রাস্তায় ৩০ কিলোমিটারের পথ ঘুরে চলাচল করতে হয়। জরুরি রোগীদের হাসপাতালে নেওয়াও কষ্টকর হয়ে যায়। একটি রাস্তার জন্য এই অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়ন থমকে আছে।
উপজেলা প্রকৌশলী(এলজিইডি) ইসমাইল হোসেন বলেন, ওই রাস্তার যতটুকু পাকা আছে সেটুকু সংস্কারের জন্য টেন্ডার হয়েছে। আর মাটির যে রাস্তা আছে সেটা পাকাকরণের জন্য ইতোমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে কাগজপত্র প্রেরণ করেছি। অনুমোদন হলে রাস্তাটি পাকাকরণ করা হবে।
মন্তব্য করুন