নওগাঁর রাণীনগরে রোগাক্রান্ত গরু জবাই ও বিক্রির দায়ে ৫ হাজার টাকা জরিমানা

রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি : নওগাঁর রাণীনগরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে রোগাক্রান্ত গরুর মাংস বিক্রয় করার অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারিক সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাবিলা ইয়াসমিন মাংস বিক্রেতা বিদ্যুৎ হোসেনের ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে কসাই জহুরুল ইসলাম পালিয়ে যায়।
জানা গেছে, উপজেলার গোনা ইউনিয়নের বেতগাড়ী ব্রিজের মোড় নামক স্থানে ভবাণীপুর গ্রামের মোসারফ সরদারের ছেলে জহুরুল ইসলাম ও আতাইকুলা গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে বিদ্যুৎ হোসেন যৌথভাবে বেশ কিছুদিন ধরে ওই স্থানে গরু জবাই করে মাংস বিক্রি করতো। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রাণিসম্পদ দপ্তরের ডাক্তারি ছাড়পত্র ছাড়াই রোগাক্রান্ত একটি গরু জবাই করে ৫৫০ টাকা কেজিতে মাইকে প্রচারের মাধ্যমে মাংস বিক্রি শুরু করে।
কম দামে মাংস পাওয়ায় ক্রেতারাও হুমরি খেয়ে পরে। সংবাদ পেয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাবিলা ইয়াসমিন, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রফি ফয়সাল তালুকদার ও ভেটেনারি সার্জন ডা. মিশকাতুল জাবিদ যৌথভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছে রোগাক্রান্ত গরুর মাংস বিক্রির সাথে জড়িত বিদ্যুৎ হোসেনকে আটক করে। ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় তার ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সাথে ওই গরুর অবশিষ্ট মাংস মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়।
আরও পড়ুনএমন খবর ছড়িয়ে পড়লে যে সমস্ত ক্রেতারা মাংস কিনেছিলো সেই মাংস ফেরত দিতে ভিড় জমায়। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রফি ফয়সাল তালুকদার বলেন, গোপন সংবাদে জানতে পারি বেতগাড়ী ব্রিজের মোড়ে কসাই জহুরুল ও বিদ্যুৎ যৌথভাবে আমাদের ছাড়পত্র ছাড়াই রোগাক্রান্ত গরু জবাই করে মাইকে প্রচারের মাধ্যমে মাংস বিক্রি করছে।
এমন খবর পেয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাবিলা ইয়াসমিনের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে আমরা অভিযানে যাই। ঘটনার সত্যতা পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত কসাই বিদ্যুতের ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে। এসময় হাতেনাতে পাওয়া মাংসগুলো মাটিতে পুঁতে রাখা হয়। আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে অপর কসাই জহুরুল ইসলাম পালিয়ে যায়। এমন অভিযান আগামীতে আরও জোরালো ভাবে চলমান থাকবে।
মন্তব্য করুন