বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুটবল খেলা নিয়ে দুই পক্ষে সংঘর্ষ, আহত ১২

ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) দুই বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়েছেন।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভোলা রোডে এ ঘটনা ঘটে।
ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি তেমন তৎপর ছিল না বলে জানান শিক্ষার্থীরা। তবে প্রক্টর জানিয়েছেন, তাঁরা দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছেন। এ ঘটনায় শিক্ষকদের কেউ আহত হননি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ১২তম ব্যাচের একদল শিক্ষার্থী নবনির্মিত বিটাক ভবনের মাঠে মার্কেটিং বিভাগের ১০ম ব্যাচের জ্যেষ্ঠ শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল ফয়সালের সঙ্গে ফুটবল খেলা নিয়ে বাগ্বিতণ্ডা জড়ায়। একপর্যায়ে ফয়সাল ক্ষমা চাইতে বাধ্য হন। পরে তিনি বিষয়টি নিজের ব্যাচের গ্রুপে জানালে কয়েকজন মাঠে গেলে তাঁদেরও মারধর করা হয়।
এরপরই মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর গেটের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন। অন্যদিকে বিটাক ভবনে অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের শিক্ষার্থীরা জড়ো হন। পরে বিটাক ভবনের দিকে মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা গেলে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে দুই গ্রুপে সংঘর্ষ বেধে যায়। ঘণ্টাব্যাপী চলে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ। এ সময় ১০-১২ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পরে ঘটনাস্থলে দুই বিভাগের শিক্ষক ও প্রক্টরিয়াল বডির শিক্ষকেরা উপস্থিত হন। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
আরও পড়ুনআহত মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী মোস্তাক আহমেদ জানান, ‘আমরা গ্রুপে একটা মেসেজ দেখে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যাই। গিয়ে দেখি আমাদের ফয়সালকে মারধর করতেছে। এ সময় তাকে ছাড়াতে গেলে আমাকেও ঘিরে ধরে। পরে আমি জুতা রেখে সেখান থেকে দৌড় দিয়ে ছুটে আসি।’
অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাঁরা মীমাংসায় বসার জন্য প্রস্তুত। তবে এ ঘটনায় তাঁরা কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রাহাত হোসেন ফয়সাল বলেন, ‘দুবার মারামারির ঘটনা ঘটেছে। তাঁদের প্রথমে থামানোর চেষ্টা করা হয়েছে। পরে আবারও মারামারি ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ১০-১২ জনকে শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দুই বিভাগের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি। তাদের নিয়ে বসা হবে।’
মন্তব্য করুন