ভিডিও

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে মাঠে মাঠে চলছে আউশ ধান কাটা-মাড়াই

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৪, ০৮:৪৬ রাত
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৪, ০১:০৬ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি : গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে পরিত্যাক্ত জমিতে সমন্বিত পদ্ধতিতে চাষ করা আউশ ধানে পাকন ধরায় কাটা-মাড়াই শুরু করেছেন কৃষকরা। ধানের ভাল ফলনে মানুষের খাদ্য ঘাটতি পূরণের পাশাপশি গো-খাদ্য সংকট মোকাবেলায় সহায়তা করবে।

বোরো ও আমনের ধানের মাঝামাঝি সময়ে এ ধানের আবাদ করা হয়। তবে বোরো আবাদের পর আমন হয় না এমন পতিত জমিতে এবার আউশ চাষ করা হয়। বৃষ্টি নির্ভর আর সল্প খরচ হওয়ায় ক্রমেই আউশ ধান চাষে আগ্রহী হচ্ছেন কৃষক।

উপজেলায় বোরো-আমন ধান আবাদের মাঝামাঝি সময়ে বিঘার পর বিঘা জমি পতিত থাকত। এবার এধরণের অনেক জমি আউশ ধান চাষের আওতায় এসেছে। এতে করে দুই ফসলি জমিগুলো তিন ফসলি জমিতে পরিণত হয়েছে। কীটনাশক ও সার খরচ কম লাগায় এবং মাত্র ১২০ দিনের মধ্যে এই ধান ঘরে তোলা যাওয়ায় কৃষকদের মাঝে বেশ সাড়া ফেলেছে।

এবার গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার খলসী চাঁদপুরে প্রায় ৪৫জন কৃষক সমন্বিত পদ্ধতি অনুসরন করে একই সাথে প্রায় ৬০ বিঘা পতিত জমিতে আউশ চাষ করে লাভবান হওয়ার আশা করছেন। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় এবার ১৪৪২ হেক্টর  জমিতে আউশ ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

চলতি বছর আউশ মৌসুমে পৌরসভার খলসি এলাকার কৃষক অসীম সরকার বলেন, অপেক্ষাকৃত নিচু ও বন্যা প্রবণ হওয়ায় এসব জমিতে আমন হয় না। তাই বোরো ধান কাটার পর দীর্ঘ সময় পতিত থাকতো। স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও প্রণোদনা সহয়তা পাওয়ায় এবারই প্রথম আউশ ধানের চাষ করে গরুর খাদ্য সংকট হয়। কিন্তু আউশের ধানের খড় সে অভাব পূরণ করবে।

কৃষক সানা মিয়া বলেন, এ মৌসুমের ব্রি ধান-৪২,৪৩,৪৮ ও কুদরত মত নতুন নতুন উফশি জাত আসায় কৃষদের মাঝে এই ধান চাষের আগ্রহী যেমন বেড়েছে, তেমনি এ এলাকায় প্রতিবছর বৃদ্ধি পাচ্ছে আউশ ধান চাষ। এ কারণে এক ফসলি জমি দুই ফসলি আর দুই ফসলি জমি তিন ফসলি জমিতে পরিণত হচ্ছে।

গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভা ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা, বিলাস কুমার ভট্টাচার্য বলেন, স্থানীয় জাতের চেয়ে উফশি নতুন জাত আউশ ধানের ফলন অনেক বেশি, সেই সাথে বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি নেই। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান বলেন, আউশ ধান চাষে কৃষকদের কৃষি প্রণোদনাসহ প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ সহায়তা দেয়া হয়েছে। তবে স্বল্প সময়ে কম খরচে এই ফসল ঘরে তোলা যাওয়ায় কৃষকদের মাঝে সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS