ভিডিও

ধারের টাকা না পাওয়ায় বন্ধুর স্ত্রীকে বিয়ে!

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২৪, ০৮:০০ রাত
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২৪, ০৮:০০ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: ভরণ-পোষণ না দেয়ায় স্বামীকে পিটিয়ে শীতের রাতে কচুক্ষেতের পানিতে নামিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে তার দ্বিতীয় স্ত্রীর বিরুদ্ধে। পরে জরুরি সেবা ট্রিপল নাইনে ফোন করে পুলিশের সহযোগিতায় সেখান থেকে উদ্ধার পান ঠিকাদার ব্যবসায়ী মোহন।

গত শনিবার  মধ্যরাতে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার সাইনবোর্ড তুষারধারা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, ঠিকাদার ব্যবসায়ী মোহন তুষারধারা এলাকায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে নিজ বাড়িতে বসবাস করেন। তার বাড়ির কাছেই ফ্ল্যাট কিনে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে আরেক বন্ধু থাকতেন। সেই বন্ধুর কাছে মোটা অঙ্কের টাকা পাওনা ছিলেন মোহন। আর সেই টাকা দিতে না পারায় বন্ধুর স্ত্রী সাথী আক্তারকে গোপনে বিয়ে করেন। বিয়ের পর সাথী আক্তার আগের স্বামীর ফ্ল্যাটেই বসবাস করেন। মোহন ওই ফ্ল্যাটে আসা-যাওয়া করলেও সাথীর ভরণ-পোষণ দিতেন না। এ নিয়ে তাদের ঝগড়া হয়।

এ বিষয়ে মোহন জানান, সাথীকে প্রথমে মৌখিকভাবে বিয়ে করেন তিনি। পরে পাঁচ লাখ টাকা কাবিন করে কাজির মাধ্যমে সাথীকে ধর্মীয় নিয়ম মেনে বিয়ে করেন।

মোহন বলেন, ‘বিয়ের পর থেকে স্ত্রী সাথীকে নিয়মিত ভরণ-পোষণ দিয়ে আসছি। কয়েক দিন আগেও চালের বস্তা কিনে দিয়েছি। বাজারও করে দিয়েছি। কিন্তু সাথী আমাকে ঘরে থাকতে দেয় না। তার কারণ হলো সাথীর সঙ্গে একাধিক পুরুষের অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। এ বিষয়ে প্রতিবাদ করলেই সাথী আমাকে মারধর করতে চায়।’

 

 

ঘটনার দিনের বিষয়ে মোহন বলেন, শনিবার রাত প্রায় ১২টার দিকে সাথীর ফ্ল্যাটে গিয়ে দরজা ধাক্কা দিলে কেউ শব্দ করেনি। কিন্তু ঘরে লোকজন থাকার শব্দ পাই। এতে জোরে দরজা ধাক্কা দিলে সাথী গালাগাল দেয় আমাকে।

 

তিনি আরও বলেন, তখন তিনজন লোককে হাতে রড ও লাঠি দিয়ে আমাকে মারধর করার জন্য পাঠায় সাথী। তখন আমি দৌড় দিলে তারা পিছু নেয় এবং মারধর করতে থাকে। একপর্যায়ে জীবন বাঁচাতে সড়কের পাশে কচুক্ষেতের ভেতর ঢুকে পড়ি। ওই ক্ষেতে বুকসমান ঠান্ডা পানি ছিল। তারা আমাকে পানিতে এক ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে। এরপর ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে পুলিশ আসার পর তারা পালিয়ে যায়।

 

ঘটনাস্থলে যাওয়া ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক গিয়াস উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে মোহনকে ভেজা অবস্থায় কচুক্ষেতের সামনে পাওয়া যায়। তাকে চিকিৎসা নিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আযম খান বলেন, এ বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি, লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

 



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS