রংপুর জেলা প্রতিনিধি : প্রায় আড়াই মাস পর রংপুরে অবস্থিত উত্তরাঞ্চলের (রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের) একমাত্র সরকারি খাবার স্যালাইন উৎপাদন ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন পুনরায় শুরু হয়েছে। গত ২৯ জানুয়ারি ২০ হাজার পিস খাবার স্যালাইন উৎপাদনের মাধ্যমে পুনরায় কর্মমুখর হলো প্রতিষ্ঠানটি।
২০২৩ সালের ১৬ নভেম্বর শেষবার খাবার স্যালাইন উৎপাদনের পর কাঁচামালের অভাবে কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ রাখেন। এদিকে, বন্ধের ঘোষণায় বিভিন্ন হাসপাতাল এবং সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে খাবার স্যালাইনের সমস্যার পাশাপাশি আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হন দৈনিক হাজিরায় কর্মরত ১৫ জন কর্মী।
খাবার স্যালাইন উৎপাদন ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের স্টোর কিপার মো. এনামুল হক বলেন, খাবার স্যালাইন তৈরির কাঁচামাল হচ্ছে গ্লুকোজ এন্ড হাইড্রাস, ট্রাই সোডিয়াম সাইট্রেট, পটাশিয়াম ক্লোরাইড, সোডিয়াম ক্লোরাইড এবং স্যালাইন ভরানোর জন্য পলিথিন প্যাকেট।
উল্লেখিত ৫ প্রকার কাঁচামালের মধ্যে গ্লুকোজ এন্ড হাইড্রাস, ট্রাই সোডিয়াম সাইট্রেট এবং স্যালাইন ভরানোর জন্য বিশেষ পলিথিন প্যাকেট শেষ হওয়ায় বাধ্য হয়ে স্যালাইন উৎপাদন বন্ধ হয়েছিলো। তবে উল্লেখিত কাঁচামাল আসায় আমরা পুনরায় খাবার স্যালাইন উৎপাদন শুরু করেছি।
রংপুর জেলার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. রুহুল আমিন বলেন, প্রয়োজনীয় কাঁচামাল পাওয়ায় আমরা আবার স্যালাইন উৎপাদন শুরু করেছি। এখন থেকে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ১৬ জেলায় কাঙ্খিত খাবার স্যালাইন পাঠানোর আর কোন প্রতিবন্ধকতা থাকলো না।
খাবার স্যালাইন উৎপাদন ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন সূত্রে জানা গেছে, স্যালাইনের কাঁচামালগুলো বিদেশ থেকে সরবরাহকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আনে এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জনস্বাস্থ্য ইন্সটিটিউট (আইপিএইচ) এর মাধ্যমে পাওয়া যায়। প্রতিদিন ২১ হাজার প্যাকেট স্যালাইন তৈরি হয়। ২২ জন কর্মীর মধ্যে প্রায় ১৫ জনই ডেইলি পেমেন্ট চুক্তিতে কাজ করছেন।
উল্লেখ্য, ১৯৮০ সালে রংপুরের সাবেক সদর হাসপাতালে খাবার স্যালাইন উৎপাদন ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানটি যাত্রা শুরু করে। উৎপাদিত স্যালাইন রংপুর ও রাজশাহীর ৪টি সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, সদর হাসপাতাল সিভিল সার্জনের ১৬টি রিজার্ভ স্টোর, ২টি সিটি কর্পোরেশনসহ বিভিন্ন পৌরসভা, বিজিবি, পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার ও হাসপাতাল, কমিউনিটি ক্লিনিক এবং কেন্দ্রীয় কারাগারে সরবরাহ করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।