ভিডিও

বগুড়ার বাজারে সেঞ্চুরি পার করল পেঁয়াজের দাম

আসন্ন রমজানে দাম নিয়ে ভীতি

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২৪, ০৮:০৭ রাত
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২৪, ০৮:০৭ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়ার বাজারে সেঞ্চুরি পার করল পেঁয়াজের দাম। এক দিনের ব্যবধানে কেজিতে ১৫ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়ে বগুড়ার শহরের বাজারগুলোতে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০৫ থেকে ১১০ টাকা পর্যন্ত। আর পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০০ টাকা।

আজ বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বগুড়া শহরের পাইকারি রাজা বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ক’দিন ধরেই পাইকারিতে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৮০ থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর খুচরাতে মানভেদে ৮৫ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়।

তবে আজ বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) হঠাৎ-ই পণ্যটি একলাফে ১৫ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়ে পাইকারিতেই ৯৫ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। আর শহরের অন্যান্য বাজারে মসলাজাতীয় এই পণ্য ১১০ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়ে বিক্রি হয় বলে জানা গেছে।

জানতে চাইলে রাজা বাজারের পাইকারি পেঁয়াজ ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন বলেন, বগুড়ার বাজারে সাধারণত পেঁয়াজ আসে পাবনা অঞ্চল থেকে। আজ বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাজা বাজারের আড়ৎগুলোতে পেঁয়াজের সরবরাহ ছিল না বললেই চলে।

মূলত চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ ঘাটতির কারণে পাইকারিতে একরাতে কেজিতে ১৫ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে। কাল বৃহস্পতিবার সরবরাহ স্বাভাবিক হলে দাম আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসবে, আর তা না হলে দাম আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

সবজি বিক্রেতা শহিদ মিয়া বলেন, গত কয়েক দিন ধরেই পাইকারি প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৭৮ থেকে ৮০ টাকায় কিনে খুচরা পর্যায়ে ৮৫-৯০ টাকায় বিক্রি করে আসছি। আজ বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) হঠাৎ-ই পাইকারিতে ৯৫ টাকা দাবি করেন বিক্রেতারা। ওই পেঁয়াজ কিনে ১০০ টাকার ওপরে বিক্রি করতে হচ্ছে।

এদিকে ভরা মৌসুমে পণ্যটির এমন দামে ক্ষুব্ধ ক্রেতারা বলছেন, সরকারের সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তায় পেঁয়াজের দাম লাগামহীন। সরকারের পরিসংখ্যানে দেশে পেঁয়াজের চাহিদার তুলনায় উৎপাদন উদ্বৃত্ত দেখানো হলেও চাষ মৌসুমেও দাম নাগালের বাইরে চলে গেছে।

মূলত অসাধু কারবারীদের সুযোগ করে দিতেই বাজার সংশ্লিষ্টরা নিত্যপণ্যের দাম কমানো ব্যাপারে কার্যকর কোন উদ্যোগ গ্রহণ করছে না বলে অভিযোগ সাধারণ ভোক্তাদের।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রতি রমজানেই দেশে পেঁয়াজের চাহিদা বাড়ে। পণ্যটির দাম নিয়ন্ত্রণে এখনই দৃশ্যামান পদক্ষেপ গ্রহণ বা আমদানি না করলে অচিরেই তা সাধারণের নাগালেই বাইরে চলে যাবে। এতে রমজানের বাড়তি চাহিদাকে পুঁজি করে সাধারণ মানুষকে নিঃস্ব করে ফায়দা লুটবে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS