ভিডিও

রাজশাহী-মুর্শিদাবাদ নৌরুট  চালু হচ্ছে ১২ ফেব্রুয়ারি

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২৪, ০৯:০১ রাত
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২৪, ০৯:০১ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

রাজশাহী ও গোদাগাড়ী প্রতিনিধি : বহু প্রতীক্ষিত ও রাজশাহীর মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের প্রচেষ্টায় অবশেষে ভারতের মায়া থেকে রাজশাহীর গোদাগাড়ীর সুলতানগঞ্জ নৌ রুটের উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। ইন্দো-বাংলাদেশ প্রটোকল রুট নং ৫ ও ৬ অর্থাৎ আরিচা-রাজশাহী-সুলতানগঞ্জ-মায়া-ধুলিয়ান  অংশের সুলতানগঞ্জ অংশে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি এ নৌ-রুট চালু হতে যাচ্ছে। ওইদিন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, উদ্বোধনের পর সুলতানগঞ্জ নদী বন্দরের মাধ্যমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার মায়াঘাট বা নদী বন্দরের মধ্যে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য শুরু হবে। 

উদ্বোধনের খবরে ইতোমধ্যে গোদাগাড়ীতে সাজ সাজ রব পড়েছে। সম্প্রতি নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, কাস্টমস কর্মকর্তা, গোদাগাড়ী উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা চেয়ারম্যান, গোদাগাড়ী পৌরসভার মেয়র নৌ-রুটের উদ্বোধনী পর্বকে সফল করতে পরিদর্শন করেছেন। তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বৃহস্পতিবার রাজশাহী-১ আসনের এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী ক এ তথ্য জানিয়েছেন।

এদিকে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের পরিচালক রফিকুল ইসলাম জানান, উদ্বোধনের দিন দুপুর ১২ টায় সুলতানগঞ্জ হাইস্কুলে জনসভা অনুষ্ঠিত হবে। 

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলির সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরোশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, রাজশাহী-১ আসনের এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী,  বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার মি. প্রণয় ভার্মা, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডর আফির আহমেদ মোস্তফাসহ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা ও কাস্টমসের উর্ধ্বতন কর্মকতাবৃন্দ। উদ্বোধনী দিন ভারত থেকে একটি ভেসেলে পাথর আমদানির সম্ভবনা রয়েছে।  

নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, দু-এক দিনের মধ্যে একটি ফাঁকা ভেসেল বাংলাদেশ থেকে ভারতের মায়ায় পাঠানোর কথা। উদ্বোধনী দিন থেকে ৫টি ট্রিপ বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে সম্পৃক্ত থাকবে। প্রাথমিক পর্যায়ে এইপথে ভারত থেকে সিমেন্ট তৈরির কাঁচামাল, পাথর, মার্বেল, খনিজ বালু ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের খাদ্য সামগ্রী বাংলাদেশে আসবে। 

অন্যদিকে বাংলাদেশ থেকে বস্ত্র, মাছ, পাট ও পাটজাত পণ্য ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের কৃষিপণ্য ভারতে যাবে। এসব পণ্য মূলত বিভিন্ন স্থলবন্দরের মাধ্যমে সড়ক ও রেলপথে বাংলাদেশে আমদানি করা হয়। সুলতানগঞ্জ থেকে মায়া নৌঘাটের নদীপথে দূরত্ব মাত্র ১৭ কিলোমিটার। 

স্থানীয়রা জানান, ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের আগ পর্যন্ত সুলতানগঞ্জ-মায়া ও গোদাগাড়ী ও ভারতের লালগোলা নৌঘাটের মধ্যে নৌপথে বিপুল বাণিজ্য চালু ছিল। বাংলাদেশ থেকে এই পথে ভারতে বিপুল পরিমাণ পাট রফতানি হতো। বর্তমানে রাজশাহীতে প্রচুর মাছ উৎপাদন হয়। এই মাছ এই নৌপথে ভারতে রফতানি করা সম্ভব হবে। 



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS