ভিডিও

সৈয়দপুরে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেলো স্কুলছাত্রী

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২৪, ০৭:২১ বিকাল
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২৪, ০৭:২১ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি : নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রী। পরে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে মেয়ের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে না দেওয়ার অঙ্গীকার করে একটি লিখিত মুচলেকা দেন তার পরিবার।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সৈয়দপুর শহরের উপকন্ঠে ঢেলাপীর উত্তরা আবাসনের বাসিন্দা মরহুম হাসমত ও রশিদা বেগম ওরফে মুন্নি দম্পতির মেয়ে মোছা. মিম আক্তার। সে একটি বেসরকারি সংস্থা পরিচালিত ওব্যাট ব্যাক টু স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী। স্কুল পড়ুয়া ওই ছাত্রীর বিয়ের বয়স না হলেও মেয়েটির বিয়ে ঠিক করেন তার পরিবার। বর প্রতিবেশী ইমরান আলম মিলন। সে একই এলাকার মিলন ইসতেখার আলম ও নাহিদ পারভীন দম্পতির ছেলে।

নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রীর বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক করা হয় আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি (রোববার)। ওইদিন (১১ ফেব্রুয়ারি) তার বিয়ে উপলক্ষে সৈয়দপুর শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে বেলা দেড়টায় প্রীতিভোজের আয়োজন করা হয়। 

এ বাল্যবিয়ের খবরটি জানতে পারেন ওব্যাট ব্যাক টু স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোছা. তাবাসসুম আক্তার। তিনি তৎক্ষণাৎ তার প্রতিষ্ঠানের এক ছাত্রীর বাল্যবিয়ের আয়োজনের বিষয়টি অবগত করেন সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে।

পরে সৈয়দপুর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নুরন্নাহার শাহ্জাদী ওব্যাট ব্যাক টু স্কুলের প্রধান শিক্ষক্ষকে নিয়ে উত্তরা আবাসনে বাসিন্দা মিম আক্তারের বাড়িতে হাজির হন। স্কুলছাত্রীর বয়স ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিবেন না মর্মে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত মুচলেকা প্রদান করেন। সৈয়দপুর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নুরুন্নহার শাহজাদী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।

 



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS