ভিডিও

আয়া পদে টাকা নিয়ে চাকরি না দেওয়ায় অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৪, ১০:২০ রাত
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৪, ১০:২০ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের তাড়াশে টাকা নিয়ে চাকরি না দেওয়ায় গোন্তা আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করেছেন এক ভুক্তোভোগী। ভুক্তোভোগী মোছা. ফাতেমা খাতুন গত বৃহস্পতিবার সিরাজগঞ্জের তাড়াশ সহকারী জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। যার মামলা নম্বর-১৬/২০২৪।

ফাতেমা খাতুন গোন্তা আলিম মাদ্রাসার আয়া পদে চাকরি প্রার্থী ছিলেন। তিনি তালম ইউনিয়নের গোন্তা গ্রামের মো. আলতাফ হোসেনের মেয়ে। এদিকে বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্টকে (সিআইডি) তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন।

আর ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্টকে (সিআইডি) নির্দেশনা প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, তাড়াশ সহকারী জজ আদালতের পেশকার মুনতাসীন মামুন। মামলার এজাহারে সূত্রে জানা গেছে, গোন্তা আলিম মাদ্রাসায় উপাধ্যক্ষ, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর, নিরাপত্তা কর্মী এবং আয়া এ চারটি পদের জন্য গত বছরের ২৭ জুন পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তি দেখে আয়া পদে যথানিয়মে আবেদন করেন চাকরি প্রার্থী মোছা. ফাতেমা খাতুন। এছাড়া মোছা. ফাতেমা খাতুনের কাছ থেকে তৎকালীন তালম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্বাছ-উজ-জামানের উপস্থিতিতে চাকরি দেওয়ার শর্তে মাদ্রাসার উন্নয়ন তহবিলে কথা বলে অধ্যক্ষ টিআর মো. আব্দুল মান্নান ৬ লাখ টাকা নেন।

এরপর গত ২০২৩ সালের ২১ জুলাই নিয়োগ পরীক্ষার প্রবেশপত্র দেওয়া হয় ভুক্তোভোগী প্রার্থীকে। কিন্তু নিয়োগের দিন আরাও একাধিক প্রার্থীর কাছে থেকে টাকা নিয়ে চাকরি না দেওয়ায় তারা মাদ্রাসা চত্ত্বরে বিক্ষোভ করেন এবং এদের মধ্যে দুজন প্রার্থী নিয়োগ কমিটির সামনেই পরীক্ষা কেন্দ্রে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।

এ অবস্থায় ডিজির প্রতিনিধি মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মাদ আবু নঈম নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করে চলে যান। এদিকে ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ গোপনে নিয়োগ পরীক্ষার ভেন্যু পরিবর্তন করে পূর্বের বৈধ প্রার্থীদের প্রবেশ পত্র না দিয়েই নিয়োগ সম্পন্ন করেন।

কিন্তু ওই অধ্যক্ষ ভুক্তোভোগী ফাতেমা খাতুনের কাছে থেকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে নেওয়া ৬ লাখ টাকার মধ্যে ২ লাখ টাকা ফেরত দিলেও বাকী ৪ লাখ টাকা আর ফেরত দেননি। এতে সংক্ষুব্ধ হয়ে ভুক্তভোগী আদালতে মামলা করেন।

পাশাপাশি টাকা নেওয়া প্রসঙ্গে গোন্তা আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ টিআর মো. আব্দুল মান্নান অস্বীকার করে বলেন, নিয়োগ বোর্ড ও মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতির নির্দেশে ওই পদগুলোর নিয়োগ সম্পন্ন করা হয়েছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS