ভিডিও

বাংলাদেশে শ্যালিকার বিয়ের দাওয়াত খেতে এসে ভারতীয় নাগরিকের মৃত্যু

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৪, ০৬:৫৭ বিকাল
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৪, ০৬:৫৭ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : পাসপোর্টে বাংলাদেশে শ্যালিকার বিয়ের দাওয়াত খেতে এসে ভারতীয় নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল রোরবার বিকেলে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার  বড়ভিটা ইউনিয়নের দক্ষিণ বড়ভিটা এলাকায়।

মৃত ওই ভারতীয় নাগরিক শ্বাসকষ্ট রোগে অক্রান্তে হয়ে মারা গেছেন বলে পরিবারের লোকজন জানিয়েছে। তার বাড়ি ভারতের কোচবিহার জেলার কুস্তিবাড়ী দক্ষিণ থাপাইটারি গ্রামে। মৃতের নাম বিকাশ চন্দ্র (৪০)। পুলিশ জানায়, গত ২১ জানুয়ারি বৈধ পাসপোর্টে মৃতের স্ত্রী শেফালী সরকার ও তার  তিন বছরের ছেলেসহ  বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের দক্ষিণ বড়ভিটা এলাকার শ্বশুরবাড়ি শ্রীকৃষ্ণ রায় মেঘারামের বাড়িতে আসেন।

১০ ফেব্রুয়ারি রাতে শ্যালিকার বিয়ে বাড়িতে বিকাশের শ্বাসকষ্ট রোগ শুরু হয়। বুকে ব্যথা অনুভব করলে শ্বশুরবাড়ির লোকজন স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক তাকে চিকিৎসা দেন। ওই সময় চিকিৎসার এক পর্যায়ে কিছুটা সুস্থ হন। পরে গতকাল রোববার বিকেলে আবার শ্বাসকষ্ট রোগে আক্রান্ত  হয় বিকাশের। তড়িঘড়ি করে তাকে ফুলবাড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মৃতের স্ত্রী শেফালী সরকার জানান, আমার স্বামী বিকাশ চন্দ্র সরকার ভারতের কোচবিহার জেলার কুস্তিবাডী দক্ষিণ থাপাইটারি গ্রামের মিলন চন্দ্র সরকারের ছেলে। ‘গত ২১ জানুয়ারি পাসপোর্ট করে আমার ছোট বোনের বিয়ের দাওয়াত খেতে এসেছি। গতকাল রোববার বোনের বিয়ের অনুষ্ঠানে আমার স্বামীর পুরোনো শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে মারা যায়।

বড়ভিটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মিন্টু বলেন, ভারতীয় এক নাগরিক স্ত্রী ও সন্তাানকে নিয়ে শ্যালিকার বিয়ের  দাওয়াত খেতে শ্বশুরবাড়িতে আসেন। গতকাল রোববার অসুস্থ হলে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে তার মৃত্যুু হয়। মৃতের লাশ ভারতে পাঠিয়ে দেয়ার জন্য প্রক্রিয়া করা হচ্ছে।

ফুলবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার নাজমীন আক্ততার জানান, ওই রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রাণ কৃষ্ণ দেবনাথ বলেন,  অসুস্থতার কারণে ওই ভারতীয় নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে।

পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের অভিযোগ করেনি। আমরা মরদেহটি পরিবারের নিকট হস্তান্তর করে থানায় সাধারণ ডায়রি (জিডি) করেছি।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS