ভিডিও

বীরগঞ্জে লাইসেন্স ছাড়াই চলছে আটটি ক্লিনিকও ৭টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৪, ০৯:৪৩ রাত
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৪, ০৯:৪৩ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : সরকারি নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে দিনাজপুরের বীরগঞ্জে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে লাইসেন্সবিহীন ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক। প্রতিষ্ঠানে অভিজ্ঞ চিকিৎসক, সেবিকা এবং টেকনোলজিস্ট না থাকায় সেবা নিতে আশা রোগীরা প্রতারিত হওয়ার পাশাপাশি ভুল চিকিৎসার অভিযোগ উঠছে প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে।

গত ১৬ জানুয়ারি সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন সারাদেশের লাইসেন্সবিহীন বেসরকারি হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক বন্ধের নির্দেশ দেন। উক্ত সরকারি নিয়ম-নীতি তোয়াক্কা না করেই চলছে বীরগঞ্জে ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকগুলো।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ১৩টি ক্লিনিকের মধ্যে নিবন্ধনকৃত ৫টি বাকি ৮টির নিবন্ধন নেই। ১৩টি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মধ্যে নিবন্ধন আছে ৬টি, আর ৭টি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নিবন্ধন নেই। এরআগে প্রশাসনের অভিযানে ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয় প্রশাসন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. মোহাম্মদ মহসীন জানান, অনুমোদনহীন এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধের পর প্রতিষ্ঠানের মালিকদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শর্তসাপেক্ষে চালু রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক মালিকদের নিয়ে আলোচনা করে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত লাইসেন্স করার সময় দেয় প্রশাসন।

যারা সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে প্রতিষ্ঠান খোলা রেখে কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে, নির্দেশনা পেলেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি। এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার রাজকুমার বিশ্বাস জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ মহসীনসহ বীরগঞ্জের সমস্ত ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক মালিকদের নিয়ে আলোচনা সভা হয়েছে।

যাদের লাইসেন্স নেই তাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হয় এবং লাইসেন্স করার প্রয়োজনীয় শর্তগুলো মেনে প্রতিষ্ঠানগুলো চালু রেখেছে। যোগাযোগ করা হলে প্রাইভেট ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন বীরগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি জাকারিয়া ডালিম জানান, বেশিরভাগ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সরকারি অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হয়েছে।

শিগগিরই অনুমোদন পাওয়া যাবে। সবাই যেন সরকারি নিয়ম মেনে ব্যবসা করে, সে ব্যাপারে মালিকপক্ষ চেষ্টা করছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS