ভিডিও

দুপচাঁচিয়া মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে

রক্ষণাবেক্ষণের অভাব

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৪, ১০:২২ রাত
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৪, ১০:২২ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধি : দুপচাঁচিয়া মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের ১২টি দোকানঘরের ভাড়া দীর্ঘদিন থেকে আদায় হচ্ছে না। ফলে অর্থভাবে ওই ভবনের রক্ষনাবেক্ষণ করতে না পারায় ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। ৬ বছর আগে প্রায় ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে মুক্তিযোদ্ধা ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে।

উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দুপচাঁচিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লে¬ক্স ভবন নির্মানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বগুড়া-নওগাঁ সড়ক সংলগ্ন দুপচাঁচিয়া মৌজার ১০ শতাংশ জায়গা দলিল করে দেওয়া হয়। ২০১৬ সালের ২৮ জুলাই ৫ তলা ভবন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপনের মাধ্যমে প্রথম পর্যায়ে ৩ তলা ভবন নির্মানের কাজ শুরু হয়। ভবনটি নির্মাণ করতে প্রায় ১ বছর সময় লাগে।

এক কছর পর নির্বাচিত ঠিকাদার নির্মিত কমপ্লেক্স ভবনটি উপজেলা প্রকৌশলীর নিকট হস্তান্তর করেন। ভবনের সামনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ম্যুরাল স্থাপন করা হয়। মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনটি রক্ষনাবেক্ষণ সহ পরিচালনার জন্য পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি রয়েছে। এই কমিটিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সভাপতি, উপজেলা প্রকৌশলী সদস্য সচিব, সমাজসেবা কর্মকর্তা ফিরোজ শাহ্ সহ দুইজন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদ ও সুজ্জাত আলী সদস্য রয়েছেন।

এই কমিটির মাধ্যমে কমপ্লেক্স ভবনটির একতলা ও দো’তলার ১২টি দোকান ভাড়া দেওয়াও হয়েছে।  মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন পরিচালনা কমিটির সদস্য সাবেক কমান্ডার অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদ জানান, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের প্রথম ও দ্বিতীয় তলার দোকান ঘর ভাড়াটিয়ারা তাদের মাসিক ভাড়া নিয়মিত পরিশোধ করছেন না।

এছাড়াও কমপ্লেক্স ভবনের সামনে নতুন করে ৮টি দোকান ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করলেও অর্থাভাবে মাঝপথে তা থেমে আছে। কমপ্লেক্স ভবনটির তৃতীয় তলায় মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ব্যবহারের অফিস কক্ষ ও সভাকক্ষসহ পুরো মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনটি রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে দিন দিন ব্যবহারের অনুপযোগি হয়ে পড়ছে। ভবনের বিভিন্ন আসবাবপত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

ব্যালকুনির স্টিলের ও এ্যাঙ্গেলের পাইপগুলোতে মরিচা ধরছে। গত সোমবার উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় বিষয়টি তিনি তুলে ধরেছেন। মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন পরিচালনা কমিটির সভাপতি ইউএনও জান্নাত আরা তিথি জানান, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনটি প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার, এটি রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS