ভিডিও

রমজানে জনভোগান্তি চরমে

অবৈধ যানবাহনের চাপ ও যানজটের ভারে নূয়ে পড়ছে বগুড়া শহর

প্রকাশিত: মার্চ ১৪, ২০২৪, ১০:১৪ রাত
আপডেট: মার্চ ১৫, ২০২৪, ১১:৪১ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

স্টাফ রিপোর্টার: পবিত্র রমজানের তিনদিন না যেতেই যানজটে অচল হয়ে পড়েছে পুরো শহর। ভয়াবহ যানজটে পড়ে নাকাল হচ্ছে মানুষ। নষ্ট হচ্ছে কর্মঘন্টা। ১০ মিনিটের পথ পৌঁছাতে লাগছে আধাঘন্টা থেকে এক ঘন্টায়।

ট্রাফিক পুলিশের তৎপরতায় শহরের সাতমাথা জিরো পয়েন্ট এলাকা কিছুটা যানজট মুক্ত থাকলেও যানজটের ঢেউ আঁছড়ে পড়েছে শহরের লিংক রোডগুলোতে। যানজট নিয়ন্ত্রনে জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের কোন ব্যবস্থায় কাজে আসছে না। 


শহরের জেলখানার মোড় থেকে এসপি’র বাংলো পর্যন্ত আজ দুপুরে যানজট ছিল ভয়াবহ। যানজটে পড়ে সাধারণ মানুষের ত্রাহি ত্রাহি অবস্থার সৃষ্টি হয়। এমনকি স্কুল-কলেজের  শিক্ষার্থীদের বহনকারী ৭-৮টি বাস যানজটে আটকা পড়ে। এতে নাকাল হয় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও। এ সময় সেখানে যানজট নিয়ন্ত্রনে কোন ট্রাফিক পুলিশকে দেখা যায়নি। পরে অবশ্য পুলিশ ও স্থানীয় ১১ নম্বর ওয়ার্ডের পৌর কাউন্সিলর সিপার আল বখতিয়ার এলাকাবাসিকে সাথে নিয়ে যানজট নিয়ন্ত্রণ করেন।

যানজটের একই অবস্থা শহরের কবি নজরূল ইসলাম সড়ক, থানা মোড়. চকযাদু সড়ক, বাদুড়তলা, ১,২ ও ৩ নম্বর রেল গেইট,বড়গোলা, টিনপট্টি, দত্তবাড়ি, কালিতলা, দত্তবাড়ি থেকে নামাজগড় মুখি সড়ক, চাঁদনী বাজার, রাজাবাজার, ফতেহ আলী মোড়, স্টেশন সড়ক, গোহাইল সড়ক,  মেরিণা সড়ক,জলেশ্বরীতলা কালিবাড়ি ও ইয়াকুবিয়া মোড়, সেউজগাড়ী আমতলা ও কামারগাড়ী রেল ঘুমটি এলাকাতেও। এ সব  এলাকায় যানজটে পড়ে মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। নষ্ট হয় মানুষের মূল্যবান সময় ঘন্টা। বিভিন্ন পয়েন্টে যানজট নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে হিমশিম খেতে দেখা যায়।


উল্লেখ্য,বগুড়া শহরকে রিকশার নগরী বলা হয়ে থাকে। শহরে ৫০ হাজারেরও বেশি রিকশা চলাচল করে। যার মধ্যে ৪৫ হাজারের মতো রিকশা ব্যাটারি চালিত। শুধু রিকশা ও থ্রি হুইলার বা ইজিবাইকই নয়, শহরে চলাচল করে আরও ১৫ হাজারেরও বেশি সিএনজিচালিত অটোরিক্সা। যার বেশিরভাগেরই রেজিস্ট্রেশন নম্বর  নেই। এগুলোও অবৈধ। মূলত অবৈধ যানবাহনের চাপেই শহর যানজটের ভারে নূয়ে পড়েছে। শহরের সাতমাথা ও তার আশপাশ এলাকার যানজটের ঢেউ আছড়ে পড়ছে শহরের লিংক রোডগুলোতে।


এ বিষয়ে বগুড়া সদর ট্রাফিক বিভাগের ইনচার্জ (টিআই- প্রশাসন) মো: মাহবুবুল ইসলাম খান  বলেন,বগুড়া শহরে যানবাহনের ধারণ ক্ষমতা ২০ হাজার। অথচ সেখানে এর চারগুণ বেশি যানবাহন চলাচল করে। ফলে যানজট নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ছে। তারপরও ট্রাফিক পুলিশ সাধ্যমত কাজ করছে।
রানা।

 



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS