ভিডিও

শুক্রবার থেকে তাপমাত্রা আরও বাড়বে, হিটস্ট্রোক থেকে সাবধান

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৭, ২০২৪, ০৭:৫১ বিকাল
আপডেট: এপ্রিল ১৮, ২০২৪, ১১:২৬ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়াসহ দেশের বেশ কয়েকটি বিভাগে ৩৮ থেকে প্রায় ৪১ ডিগ্রি ছুঁয়েছে তাপমাত্রার পারদ। সঙ্গে দোসর হয়েছে সূর্য। দেশজুরেই বইছে তাপদাহ। আগামী শুক্রবার তাপমাত্রা আরও বাড়বে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।এদিকে দ্বিতীয় দিনের মতো চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ৭ ডিগ্রী রেকর্ড করা হয়েছে।

এ এলাকায় তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এর সাথে বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকায় গরমের তীব্রতা আরও বেড়ে অস্বস্তি উঠেছে জনজীবনে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বয়ে যাওয়া লু হাওয়ায় ঘরে বাইরে কোথাও স্বস্তি পাচ্ছে না মানুষ। এরই মধ্যে বিদ্যুতের যাওয়া আসা ‘মরার ওপর খরার ঘা’ এর মত মনে হচ্ছে। এমন অবস্থায় সাবধান না হলে হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়বে বলে সতর্ক করেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

প্রচন্ড গরমে কার্যত হাঁসফাঁস অবস্থা মানুষের। গরমের সঙ্গে গা ঘামার রয়েছে প্রবল অস্বস্তিও। বেলা যত বাড়ছে, গরমও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। রাতেও শান্তি নেই। দরজা জানালা খুলে দিয়ে ঘুমাতে পারছে না মানুষ। দাবদাহে নাজেহাল অবস্থা দেশের প্রতিটি অঞ্চলের।

বেলা একটু গড়াতেই রাস্তাঘাট ফাঁকা হতে শুরু করে। দুপুরে কার্যত জনশূন্য চেহারা নেয় প্রতিটি শহর। গ্রামের অবস্থা আরও খারাপ। অতি প্রয়োজন ছাড়া মানুষকে ঘরের বাইরে বের হতে দেখা যাচ্ছে না।

আর যারা অতি প্রয়োজনে বাধ্য হয়ে বের হয়েছেন তাদের দেখা গেল ডাবের পানি, আর আঁখের রস,  লেবুর সরবত দিয়ে গলা ভেজাতে। গরম ও তাপপ্রবাহের হাত থেকে বাঁচতে কেউ কেউ কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকেছেন, কেউ বা ছাতা মাথায় দিয়ে যাতায়াত করছেন।

কয়েকদিনের তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। এ অবস্থায় সবচেয়ে কষ্টে আছেন খোলা আকাশের নিচে রাস্তার ধারের দোকানী, খেটে খাওয়া মানুষ, মাঠে-ঘাটে কাজ করা শ্রমিক। প্রচন্ড গরমে রাস্তায় বের হয়েই দরদর করে ঘামছেন তারা। মাঝে মাঝে গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নিচ্ছেন ও রাস্তার ধারে বিক্রি করা  পানীয়র দোকান থেকে সরবত কিনে খাচ্ছেন।

রাস্তার ধারের লেবুর সরবত বিক্রেতা সামছু বলেন, ‘রোদের তীব্রতা বাড়ার কারণে ভাল ব্যবসা হচ্ছে। দিনে ৩শ- ৪শ’ লেবুর সরবত বিক্রি করছি। তবে রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকা অনেক কষ্টের। নিজেও মাঝে মাঝেই সরবত খাচ্ছি।’

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, শুক্রবার থেকে পর্যায়ক্রমে এই গরম আরও বাড়বে। তখন তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রীও ছাড়িয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। সুত্র আরও জানান, আপাতত স্থায়ী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। দেশের কোথাও কোথাও হতে পারে কালবৈশাখী। বৃষ্টি হলেও বাতাসে জলীয় বাষ্পের বাড়তি উপস্থিতির কারণে গরম অনুভূত হবে বেশি। এতে মূল তাপমাত্রা কিছুটা কম থাকলেও অনুভূত তাপমাত্রার পরিমাণ হবে ৪৪ থেকে ৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এমন আবহাওয়ায় ডাক্তাররা পরামর্শ দিচ্ছেন, প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হওয়া চলবে না। বেশি বেশি বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে এবং হালকা রঙের পাতলা সুতি কাপড় পরিধান করতে হবে। এছাড়াও ঠান্ডা পানি দিয়ে হাত মুখ ধুতে হবে। সাবধান না হলে হিট স্ট্রোক’র ঝুকি বাড়বে।

বগুড়া আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, গতকাল বুধবার বগুড়ার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল  ৩৮ দশমিক ১ ডিগ্রী সেলসিয়াস। গতকাল মঙ্গলবার ছিল ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস। আগামী কয়েকদিনেও দেখা মিলবে না কাঙ্খিত বৃষ্টির। পুরো এপ্রিল মাস জুড়েই গা জ্বালানো অসহ্য গরম সহ্য করতে হবে মানুষ ও প্রাণিকূলকে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS