ভিডিও

সোনাতলায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬৬ বীর নিবাসের কাজ প্রায় শেষ

প্রকাশিত: এপ্রিল ২০, ২০২৪, ১১:০১ রাত
আপডেট: এপ্রিল ২০, ২০২৪, ১১:০১ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধি : সোনাতলায় হস্তান্তরের আগেই বীরনিবাসে বসবাস শুরু করেছে কিছু কিছু বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার। প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মান করা হচ্ছে ৬৬ টি বীর নিবাস।

বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার একটি পৌরসভা ও সাতটি ইউনিয়নে মুজিববর্ষ উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৬৮ টি বীর নিবাস করার সিদ্ধান্ত হয়। জায়গা-জমির জটিলতায় দুইটি বীরনিবাসের কাজ স্থগিত করা হয়। অবশিষ্ট ৬৬ টি বীরনিবাসের কাজ শেষ পর্যায়ে। প্রতিটি বীর নিবাস তৈরি করতে সরকারের ব্যয় হয়েছে ১৪ লাখ ১০ হাজার টাকা।

জানা গেছে, বীর কিছু এলাকায় বীরনিবাসের কাজ শেষ হওয়ার আগেই আবাস সংকটের কারণে বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যরা বসবাস শুরু করেছেন। উপজেলার জোড়গাছা ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি বীরনিবাসের এরকম দৃশ্য চোখে পড়ে।

এমনকি বীরনিবাস গুলোতে অগভীর নলকূপ স্থাপনের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের কাজও শেষ হয়নি। ভেলুরপাড়া এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমান, রেজাউল করিম, মোখলেছার রহমান, ছারোয়ার জাহান ও  তোতা মিয়ার বীর নিবাসে গেলে দেখা যায় বীরনিবাস গুলো অসম্পূর্ন রয়ে গেছে।

বীরনিবাস এর ঠিকাদার ও স্থানীয় জোড়গাছাইউপি চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বীরনিবাস গুলোর কাজ শেষ হলেও হস্তান্তর করা হয়নি। রং, লেখার কাজ, পানির সংযোগ কিছু কিছু বীর নিবাসে না দিতেই সুবিধা ভোগীরা বসবাস শুরু করেছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরিন শারমিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এখনো কিছু কিছ বীরনিবাসের কাজ শেষ হয়নি। কাজ শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নান বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রায় একশ অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধার জন্য বীরনিবাস তৈরি করা হয়েছে।

যার প্রতিটি নির্মানে সরকারের ব্যয়হয়েছে ১৪ লাখ ১০ হাজার টাকা। প্রতিটি বীরনিবাসে রয়েছে ৩ টি বেডরুম, ২ টি বাথরুম (ওয়াশরুম), রান্না ঘর ১ টি, ডাইনিং স্পেস ও বারান্দা।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS