ভিডিও

৯ লাখ টাকার ওষুধ ও মালামালের ক্ষয়ক্ষতি

গোবিন্দগঞ্জে কোন নোটিশ ছাড়াই দোকান ভেঙে ফেলার অভিযোগ

প্রকাশিত: মে ২৩, ২০২৪, ০৬:২৫ বিকাল
আপডেট: মে ২৩, ২০২৪, ০৬:২৫ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা)  প্রতিনিধি : গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে কোন নোটিশ ছাড়াই প্রায় ৯ লাখ টাকার ওষুধ ও মালামালসহ একটি দোকান ভেঙে ফেলার অভিযোগ উঠেছে মহাসড়ক সম্প্রসারণ কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সাসেক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।

এর সুষ্ঠু বিচার ও ক্ষতিপূরণের দাবি করে প্রশাসনের কাছে ধর্না দিলেও এখন পর্যন্ত এ ব্যপারে কোন সাড়া পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী নিরঞ্জন কুমার সরকার। তিনি এর সুষ্ঠু সমাধান ও ক্ষতিপুরণের দাবিতে বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছেন।

এই দোকানটি ছিল নিরঞ্জনের একমাত্র আয়ের উৎস। দোকানটি ভেঙে দেয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তিনি।

গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগে জানা যায়, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা সদরের হাইস্কুল মার্কেটের ওষুধ ব্যবসায়ী যমুনা মেডিকেল স্টোরের সত্বাধিকারী  নিরঞ্জন কুমার দীর্ঘ দিন ধরে ব্যবসা করে আসছিলেন। কিন্ত এই মার্কেটের অধিকাংংশ চলমান মহাসড়ক সম্পসারণের আওতায় পড়লে সাসেক থেকে এই মার্কেটের দোকানগুলি উচ্ছেদের জন্য ৭ ধারা ও ৮ ধারার নোটিশ দেয়া হলেও যমুনা মেডিকেলসহ আশপাশের ৫টি দোকানে কোন নোটিশ দেওয়া হয়নি।

তারপরও তিনি সন্দেহমুক্ত হওয়ার জন্য গত ২১ এপ্রিল জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত আবেদন করেন অধিগ্রহণ সম্পর্কে জানার জন্য। এরই এক পর্যায়ে হঠাৎ করে গত ৩০ এপ্রিল বিকেলে সাসেকের একটি বুলডোজার অন্যান্য দোকানের সাথে নিরঞ্জন সরকারের যমুনা মেডিকেল স্টোরটি ওষুধ ও অন্যান্য মালামালসহ ভেঙে গুড়িয়ে দেয়। দোকান মালিক নিরঞ্জন জানান, এতে তার প্রায় ৮ লাখ টাকার ওষুধ ও লক্ষাধিক টাকার বিভিন্ন মালামাল এবং আসবাব পত্র ছিল।  এর সব কিছুই নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি এ ব্যাপারে ক্ষতি পূরণের দাবি করছেন।

এদিকে সড়ক সম্প্রসারণ কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সাসেক এর সহকারী প্রকৌশলী ফেরদৌস বলেন, হাইস্কুল মার্কেটের মালিক পক্ষকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার পর জেলা প্রশাসন আমাদেরকে জায়গা  বুঝিয়ে দেয়। এরপর সেখানে বুলডোজার দিয়ে স্থাপনা ভেঙে ফেলার কাজ শুরু করা হয়। এ ক্ষেত্রে তার আবেদনের বিষয়টি  জেলা প্রসাশন বিবেচনা ও পরীক্ষা নীরিক্ষা করতে পারে। এছাড়া স্কুল কর্তৃপক্ষের সাথেও তিনি আলোচনা করতে পারেন।

এব্যাপারে গোবিন্দগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মোকাররম হোসেন রানা বলেন, জেলা প্রশাসন ৭ ও ৮ ধার্রা নোটিশ দিয়ে থাকে। এ ব্যাপারে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তেমন দায় নেই।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS