এক সপ্তাহ আগেও বাজারে কাঁচামরিচ ৮০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হতো। সপ্তাহের ব্যবধানে সেটির দাম বেড়ে এখন ২০০ টাকা পৌঁছেছে। কোথাও কোথাও দাম ২২০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে কাঁচামরিচের সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে।
শুক্রবার (২৪ মে) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে , সব বাজারেই কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, তবে যে সব মরিচের মান কিছুটা ভালো সেই দুই এক জাতের মরিচ ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আসন্ন ঈদুল আযহার বাকি প্রায় এক মাস। এর আগেই বাজারে কাঁচামরিচের দাম বেড়ে গিয়ে ২০০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। গতবার (২০২৩) ঠিক এই সময়ে ঈদুল আযহার আগে কাঁচামরিচের দাম বেড়ে ৭০০ টাকায় ঠেকেছিল। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এই সময়ে দেশে কাঁচামরিচের কিছুটা ঘাটতি থাকে, সে কারণে দাম বেড়ে যায়। তখন আমদানি করে কাঁচামরিচের ঘাটতি মেটানো হয়।
এছাড়াও ব্যাবসায়ীরা বলছে যখন কাচা মরিচের দাম ৩০ টাকা কেজিতে নেমে এসেছিল তখন অনেক কৃষক রাগ করে তাদের মরিচ গাছ কেটে দিয়েছিল। তাই এখন সংকট তৈরি হয়েছে।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কিছুদিনের বৃষ্টির কারণে কাঁচামরিচের দাম বেড়েছে। কারণ দেশের মরিচ গাছগুলো বৃষ্টি হলেই পচে যায়। এছাড়া কিছুদিনের তীব্র গরমে মরিচ গাছগুলো আগেভাগেই নষ্ট হয়ে গেছে। বর্তমানে মরিচের মৌসুম শেষ হয়ে আশায় গাছগুলো শুকিয়ে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে বাজারে কাঁচামরিচের সরবরাহ আগের তুলনায় কম হচ্ছে, ফলে দাম বেড়েছে।
রাজধানীর মালিবাগের একটি কাঁচাবাজারের খুচরা কাঁচামরিচ বিক্রেতা শহিদুল ইসলাম বলেন, কয়েকদিন আগেই কাঁচামরিচ ১২০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি করেছি। তারপর থেকেই কাঁচামরিচের দাম বেড়ে গেছে, এখন প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি করছি ২০০ টাকায়। যদিও এই কাঁচামরিচের মান খুব ভালো না, তবুও পাইকারি বাজার থেকে এই মরিচ বাড়তি দাম দিয়েই কিনে আনতে হয়েছে। পাইকারি বাজারে কাঁচামরিচ খুব কম পাওয়া যাচ্ছে, আগের মতো সরবরাহ নেই পর্যাপ্ত। সে কারণেই বাজারে বাড়তি দাম চলছে কাঁচামরিচের। নতুন করে মরিচ ওঠার আগ পর্যন্ত এ দাম বাড়তি থাকবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।