ভিডিও

দিনাজপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট লন্ডভন্ড : নিহত ১

উত্তরে কালবৈশাখীর ছোবল

প্রকাশিত: মে ৩০, ২০২৪, ১০:২৪ রাত
আপডেট: মে ৩১, ২০২৪, ১১:২৮ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

কালবৈশাখী ঝড়ে দিনাজপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামসহ কয়েকটি জেলা লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। ঝড়ে অসংখ্য গাছপালা ভেঙে ও উপড়ে পড়েছে। বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে আম, লিচুসহ বিভিন্ন ফসলের। লালমনিরহাটে গাছ চাপা পড়ে একজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ৩ জন। গত বুধবার মধ্যরাতে ও গতকাল বৃহস্পতিবার এই ঝড় আঘাত হানে।
আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি জানান, পাঁচ মিনিটের কালবৈশাখী ঝড়ের তান্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে দিনাজপুর। ঘরবাড়ি, বিদ্যুতের খুঁটিসহ গাছপালা ও ফসলাদির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে উপড়ে ও ভেঙে পড়েছে হাজার হাজার গাছপালা। বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কে এসব গাছ ভেঙে পড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে বাড়ির ওপর গাছ ভেঙে পড়ে বাড়িঘর ভেঙে যায়। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কয়েক হাজার কাঁচা ও আধাপাকা বাড়িঘর। উড়ে গেছে ঘরের টিন। ফলে খোলা আকাশের নিচে আছে অনেকে। গত বুধবার মধ্যরাতে এই ঝড় আঘাত হানে।
দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন জানান, গত বুধবার দিবাগত রাত ১টা ৪৬ মিনিটে দিনাজপুরে কালবৈশাখী ঝড় শুরু হয়। এসময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ৫৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার। কালবৈশাখী এই ঝড় চলে রাত ১ টা থেকে ৫১ মিনিট পর্যন্ত। কালবৈশাখী ঝড়ের মাত্র ৫ মিনি্েটর এই তান্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে যায় দিনাজপুর জেলা।
দিনাজপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সল রায়হান জানান, কালবৈশাখী ঝড়ে সদর উপজেলার ১২শ’ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উপড়ে ও ভেঙে গেছে এই উপজেলার ৮ হাজার গাছ, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৭০টি বিদ্যুতের খুঁটি।
সদর উপজেলা ছাড়াও দিনাজপুরের বিরল, বোচাগঞ্জ, কাহারোল, বীরগঞ্জ, চিরিরবন্দর, খানসামা, পার্বতীপুর, ফুলবাড়ীসহ বিভিন্ন উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড়ের তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত কয়েক হাজার ঘরবাড়ি, উপড়ে ও ভেঙ্গে পড়েছে কয়েক হাজার গাছ, আম, লিচুসহ বোরো ও ভুট্টা ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।  
দিনাজপুর জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ জানিয়েছেন, বিভিন্ন স্থানে সড়ক ও মহাসড়কে গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ঝড়ের পর গভীর রাত থেকেই তিনি নিজে এবং পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ উপস্থিত থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও স্থানীয়দের দিয়ে রাস্তার গাছ অপসাররণ করান। এরপর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। তিনি বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ে অনেক বাড়িঘর ও বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে গেছে এবং তার ছিঁড়ে গেছে। ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে আম, লিচুসহ বিভিন্ন ফসলের। ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা হচ্ছে বলে জানান জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ।
বিভিন্ন স্থানে ভেঙে গেছে ও হেলে পড়েছে বিদ্যুতের খুটি। ফলে ঝড়ের পর থেকে বিদ্যুৎহীন রয়েছে দিনাজপুর জেলা। বিদ্যুৎহীন থাকায় দুর্বিসহ অবস্থায় পড়েছে দিনাজপুরের মানুষ। বিদ্যুৎ না থাকায় বিঘ্নিত হয়েছে মোবাইল নেটওয়ার্ক সেবা। ফলে  যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে দিনাজপুরের মানুষ।
নর্দার্ণ ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি-নেসকো’র নির্বাহী প্রকৌশলী স্পন্দন বসাক জানান, কালবৈশাখী ঝড়ে ১১ হাজার ভোল্ট লাইনের ১২টি খুটি ভেঙে গেছে এবং ১৪টি খুঁটি হেলে পড়েছে। এছাড়াও ৪৪০ ভোল্ট লাইনের ৩৩টি খুঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক স্থানে বিদ্যুতের তার ছিড়ে পড়েছে। ঝড়ে বিদ্যুৎ বিভাগের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৩০ লাখ টাকারও বেশি। তিনি বলেন, দিনাজপুর শহরে বিদ্যুৎ বিভাগের মোট ১৭টি ফিডারের মধ্যে আপাতত ৩টি ফিডার চালু করে দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে। দিনাজপুরে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করতে অন্তত তিনদিন সময় লাগবে বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দিনাজপুর সদর উপজেলায় বৃহস্পতিবার বিকেলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মধ্যে ৫শ’ প্যাকেজ শুকনো খাবার, ৩৫ টন চাল, ১০ বান্ডিল টিন ও নগদ ৩০ হাজার টাকা  বিতরণ করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে দিনাজপুর সদর উপজেলার চেহেলগাজী ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে এসব ত্রাণ বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি, জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ, পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সল রায়হান প্রমুখ।
নীলফামারী প্রতিনিধি জানান, আকষ্মিক ঝড়ে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার চারটি ইউনিয়নের পাঁচশতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এসময় বাড়িঘর ও রাস্তার ওপর ছোট-বড় অসংখ্য গাছপালা উপড়ে পড়ে। গাছপালা ও ঘরচাপা পড়ে আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন মানুষ। এদিকে ওই ঝড়ে চার ইউনিয়নে কয়েকটি স্থানে বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন রয়েছে বেশ কটি গ্রামে।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে ডিমলা উপজেলার খালিশাচাপানী, নাউতারা, ঝুনাগাছচাপানী এবং গয়বাড়ি ইউনিয়নের ওপর দিয়ে আকষ্মিক ওই ঝড় বয়ে যায় বলে জানান সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা।
স্থানীয়রা জানায়, বেলা ১১টার দিকে প্রচন্ড গতিবেগে খালিশাচাপানী, নাউতারা, ঝুনাগাছচাপানী এবং গয়াবাড়ী ইউনিয়নে ঝড় শুরু হয়। মাত্র চার থেকে পাঁচ মিনিট স্থায়ী ওই ঝড়ে খালিশাচাপানী ইউনিয়নের বাইশপুকুর, ছোটখাতা,ডালিয়া গ্রাম, নাউতারা ইউনিয়নের আকাশকুড়ি, নিজপাড়া, কাকড়া, সাতজান ও শালহাটি গ্রাম, ঝুনাগাছজচাপানী ইউনিয়নের ছাতুনামা, ভেন্ডাবাড়ি ও উত্তর সোনাখুলি গ্রাম এবং গয়াবাড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ গয়াবাড়ি মৌজার ভেন্টিয়াপাড়া, চেয়ারম্যানপাড়া, নয়া জামায়াতপাড়া এলাকার পাঁচশতাধিক কাচা-আধাপাকা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়। অধিকাংশ ঘরের চাল ও বেড়া উড়ে যায়। এসময় উপড়ে পড়ে ছোট-বড় অসংখ্য গাছপালা। ঘর ও গাছের চাপায় অন্তত ১৫ জন মানুষ আহত হন। গাছপালা অপসরণ করা হচ্ছে। দ্রুত এসব কাজ সম্পন্ন হবে।
এ বিষয়ে ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে সালমা বলেন, ‘উপজেলার খালিশা চাপানী, ঝুনাগাছ চাপানী, নাউতরা ও গয়াবাড়ি ইউনিয়নের ওপর দিয়ে ঝড় বয়ে গেছে। সংশ্লিষ্ঠ ইউপি চেয়ারম্যানগণ ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা সংগ্রহ করছেন। সন্ধ্যার মধ্যে তালিকা চেয়েছি। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা হাতে পেলে রাতেই জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে পাঠানো হবে। জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।’
লালমনিরহাট প্রতিনিধি:  লালমনিরহাটে কয়েকটি গ্রামের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে শতাধিক বসতবাড়ি লন্ডভন্ড হয়েছে। ঝড়ে গাছচাপা পড়ে একজন নিহত ও তিনজন আহত হয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের উত্তর গোবদা চাত্রারপাড় গ্রামে ঝড়ে গাছচাপা পড়ে সন্তোষ কুমার (৪৫) নামে ওই ব্যক্তির মত্যু হয়েছে। তিনি ওই গ্রামের প্রফুল্ল কুমারের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, এদিন সকালে আদিতমারীর বিভিন্ন এলাকায় হঠাৎ বৃষ্টির সাথে প্রবল বেগে ঝড় আসে। এতে বেশ কিছু বাড়িঘর লন্ডভন্ড ও গাছপালা উপড়ে পড়েছে। ঝড়ে ঘরের ওপর পড়া গাছ সরাতে গিয়ে চাপা পড়ে উপজেলার উত্তর গোবদা গ্রামের সন্তোষ কুমার গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এর আগে গত বুধবার মধ্যরাতে জেলার কালীগঞ্জ ও হাতীবান্ধা উপজেলার কয়েকটি গ্রামের ওপর দিয়ে বৃষ্টির সঙ্গে প্রবল ঝড় হয়। এতে ভেলাগুড়ি, ডাউয়াবাড়ি, মদাতী, ভোটমারী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের শতাধিক বসতবাড়ি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান লন্ডভন্ড হয়ে যায়। কালীগঞ্জ উপজেলার মদাতী ইউনিয়নের গাগলারপাড় এলাকার উত্তরপাড়া হযরত আবু বক্কর সিদ্দিক হাফিজিয়া মাদরাসার টিনশেড ঘরে গাছ পড়ে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। সেসময় নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে গিয়ে ওই মাদ্রাসার দুজন শিক্ষক ও একজন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন।
এদিন রাত এবং পরদিন গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে পৃথক ঝড়ে জেলার বিভিন্ন এলাকার শতাধিক বসতবাড়ি, গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ফলে বিদ্যুৎহীন অবস্থায় পড়েছে জেলার বেশির ভাগ অঞ্চল। বিদ্যুৎ না থাকায় মোবাইল নেটওয়ার্কেও সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। অনেক এলাকার সড়কে গাছ পড়ে দিনের অর্ধেক সময় যোগাযোগ বন্ধ ছিল। তবে জেলার প্রধান সড়ক লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়ক সচল ছিল।
দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান নান্নু বলেন, সকালে প্রবল বেগে ঝড় হয়। এতে বেশ কিছু বাড়িতে গাছ পড়ে ক্ষতি হয়েছে। ঘরে ওপড়ে পড়া গাছ সরাতে গিয়ে চাপা পড়ে সন্তোষ কুমার নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ উল্লাহ জানান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার,প্রতিষ্ঠানের তালিকা করা হচ্ছে। তালিকা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিরল (দিনাজপুর) প্রতিনিধি জানান, মাত্র ৫ মিনিটের ঝড়ের তান্ডবে লন্ড ভন্ড হয়েছে দিনাজপুরের বিরল উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম। বাগানের গাছ ভেঙে এবং উপড়ে পড়ে আম-লিচুর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে যাওয়ার কারণে এলাকাগুলোতে ঝড়ের পর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ আছে। সেই সাথে বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে    ৫ টা পর্যন্ত প্রায় মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ ছিল।
বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে হঠাৎ আসা এই ঝড় এই তান্ডব চালায়। ঝড়ের তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো হলো- পুনর্ভবা নদী তীরবর্ত্তী গ্রাম উপজেলার রাজারামপুর ইউনিয়নের কানাইবাড়ি, সুকদেবপুর, গড়বাড়ী, মালঝাড়, মেধাকান্দর ও তার আশপাশের এলাকা এবং  বিজোড়া ইউয়িনের প্রকল্প, চক কাঞ্চন বাসিয়া পাড়া, বহলা ও তার আশ-পাশের এলাকা।
রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি জানান, রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের ঝগড়ারচর, গবরা গ্রাম, গুটলি গ্রাম, কাউনিয়ারচর, হাজির হাটসহ কয়েকটি গ্রামের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া আকস্মিক ঝড়ে অন্তত ২৫টি বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টায় এ ঝড় বয়ে যায়।
ঝড়ের তীব্রতায় ভেঙঙ্গ গেছে গাছপালা, বৈদ্যুতিক খুঁটি, বন্ধ হয়েছে ঢাকা-টু রৌমারী রাস্তা। এঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্তত ২৫ টি পরিবার। কাজ করছে রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলার ফায়ার সার্ভিস।
উপজেলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ হাসান খান বলেন, মুহুর্তের মধ্যে ঝড়ের তীব্রতায় গাছপালা, বৈদ্যুতিক খুঁটি, ঘরবাড়ি ভেঙে যাওয়ার খবর পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে যাওয়া হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসদেরকে রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়া স্থান পরিস্কার করার জন্য বলা হয়। ঘরবাড়ি ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা করার জন্য ইউপি চেয়ারম্যানকে বলা হয়েছে।
পীরগঞ্জ(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি জানান, ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উড়ে গেছে ঘরের চালা, ভেঙে পড়েছে অসংখ্য গাছপালাসহ বৈদ্যুতিক খুঁটি। ঝড়ে পড়েছে গাছের কাঁচা আমও। ক্ষতি হয়েছে ভুট্টা সহ পাকা বোরো ধান ক্ষেতের। বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঝড়ে এ ক্ষয়ক্ষতি হয়। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পীরগঞ্জ জোনাল অফিসের উপ-মহা ব্যবস্থাপক বাচ্চু মিয়া জানান, ঝড়ে ১২ বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে গেছে। ঝড়ে ক্ষয় ক্ষতির পরিমান নিপুপনের কাজ চলছে বলে জানান উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম।

 

 



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS