ভিডিও

এবার বগুড়ায় কোরবানির মাংসের বাজারে ছিল বেচাকেনা কম

প্রকাশিত: জুন ১৯, ২০২৪, ০৯:৩০ রাত
আপডেট: জুন ১৯, ২০২৪, ০৯:৩০ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

স্টাফ রিপোর্টার : ঈদুল আজহার দিন প্রত্যেক বছরের মত বগুড়া শহরের কয়েকটিস্থানে এবারও বসেছিল কোরবানি মাংসের বেচাকেনার বাজার। তবে এবার সেই বাজারে বিস্তৃতি ছিল অন্যান্যবারের চেয়ে কম।  ঈদের দিন বিকেল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বগুড়ার রেলওয়ে স্টেশনের সামানে, দুই নাম্বার রেলঘুমটি,  সাতমাথার গোহাইল রোডের সামনে ও কলোনী  এলাকায় বসেছিল এই বাজার।

প্রতিবছর ক্রেতা এবং বিক্রেতার হাঁক-ডাকে মুখরিত হয়ে ওঠে ভ্রাম্যমাণ এই বাজার। কিন্তু এ বছর ছিল একটু নিরবতা। কারণ হিসেবে বিক্রেতা জানান, এছর এই হাটে মাংসের সরবরাহ কম। বিক্রেতারা বলছেন দাম বেশি।

সাধারণত এই মাংসের ক্রেতা হোটেল ব্যবসায়ীরা হলেও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে এবছর অনেক  মধ্যবিত্তরা যারা কোরবানি দিতে পারেননি তাদের  মাংস কিনতে দেখা গেছে। প্রায় বছর দশেক থেকেই বগুড়া শহরের উল্লেখিত স্থানে কয়েক ঘণ্টার জন্য এই বাজার বসে। গরিব মানুষরা ঈদের দিন সারা শহর ঘুরে ঘুরে  যে মাংস সংগ্রহ করে, তার কিছু অংশ নিজের জন্য রেখে বাড়ি ফেরার সময় বিক্রি করে।

এতে মাংস বিক্রি করে তারা বেশ কিছু অর্থ নিয়ে বাড়ি ফেরে। বিকেল থেকেই এই ভ্রাম্যমাণ এসব বাজারে  ডিজিটাল মেশিন নিয়ে তিন থেকে চারজন বিক্রেতা বসে থাকেন। আর  বিক্রেতারা সারাদিন বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘুরে পাওয়া মাংস নিয়ে এই বাজারে নিয়ে আসেন। এবারের বাজারে মাংস কেনা হচ্ছিল থেকে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকায়। আর বিক্রেতারা বিক্রি করেছে ৬৮০ টাকায়।

বগুড়া রেলওয়ে স্টেশনের সামনে মাংস কিনছিলেন নিটু ও বাবু নামের দুইজন ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ী। বললেন,  কয়েক বছর থেকেই কোরবানির ঈদে এই বাজারে মাংস কেনা-বেচা করেন। এবছর মাংস সংগ্রহকারীরা তেমন একটা মাংস পায়নি। দাম বেশি হওয়ায় এবার অনেকেই যেটুকু মাংস পেয়েছেন তার মধ্যে থেকে একটু মাংস নিজেদের জন্য রেখে পুরো মাংসটাই বিক্রি করে দিয়েছেন।

তারা  ৬৮০ টাকা কেজি কিনে  ৭৫০টাকায় বিক্রি করেছেন। বগুড়ার সারিয়াকান্দি থেকে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে ঈদের দিন সকালে মহরে এসেছেন আবুল হোসেন। বললেন গরুর মাংসের এত দাম বেড়েছে যে বছরে একবারও গরুর মাংস কিনে খাওয়া যায় না।

তাই সবাইকে নিয়ে এসেছেন যাতে করে দুই একদিন খাওয়া যায় এবং বাদ-বাকি বিক্রি করে কিছু টাকা নিয়ে গেলে অন্য খরচও করতে পারব। তিনি এবং তার পরিবার মিলে ৫ কেজি মাংস পেয়েছেন। ২ কেজি রেখে ৩ কেজি  ২৪শ’ টাকায় বিক্রি করেছেন।

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক ক্রেতা বলেন, প্রতিবছর একটা বাজেটের মধ্যে কোরবানি দেয়। কিন্তু এবছর সেই বাজেটে কোরবানির ভাগ পায়নি। সবকিছুর দাম বেড়েছে সেই হিসেবে বেতন বাড়েনি। এই জন্য কোরবানিও দিতে পারেননি। সেই জন্য ভাল মাংস কেনার জন্য এসেছেন। পরিবারের জন্য ৮ কেজি মাংস কিনলেন  ৬ হাজার টাকায়। বললেন সন্তান এবং স্ত্রীরা যেন মনখারাপ না করে।’

আমাদের সান্তাহার প্রতিনিধি জানান, কোরবানির দিন মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কোরবানির মাংস এনে তা কেজি দরে বিক্রি রেছেন সান্তাহার পৌর শহর ও আশপাশের এলাকার নিম্ন আয়ের মানুষ। কেজিপ্রতি ৭০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে এসব মাংস। ঈদের দিনে সোমবার বিকেলে সান্তাহার ১ নম্বর রেলগেটের দক্ষিণ পাশে সচল রেললাইনের ওপর কোরবানির মাংস বিক্রির এই হাট বসেছিল।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ক্রেতা জানান, বাজারেও তো ৭০০ টাকা করে মাংস পাওয়া যায়, একই দামে এখান থেকে কেন কিনছেন? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আজ তো আর কোথাও মাংস পাওয়া যাবে না। তাই এখান থেকেই কিনতে হচ্ছে।’



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS