ভিডিও

পুলিশি বাধায় তাঁতীবাজারে সড়ক অবরোধ জবি শিক্ষার্থীদের

প্রকাশিত: জুলাই ০৬, ২০২৪, ০৪:৩৬ দুপুর
আপডেট: জুলাই ০৬, ২০২৪, ০৪:৩৬ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

নিউজ ডেস্ক: পঞ্চম দিনের মতো কোটা সংস্কার আন্দোলন করছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের অংশ হিসেবে শনিবার (৬ জুলাই) বিকেল তিনটার দিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজারের বেশি শিক্ষার্থী মিছিল নিয়ে গুলিস্তান জিরো পয়েন্টের দিকে রওনা হলে তাঁতীবাজার মোড়ে তাদের পুলিশ আটকে দেয়।

পরে তারা তাঁতীবাজার মোড়ে সড়ক অবরোধ করে অবস্থান নেন।

এসময় শিক্ষার্থীদের ‘নো কোটা, নো ডিসক্রিমিনেশন’, ‘সংবিধানের মূল কথা, সবার জন্য সমতা’, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘মুক্তিযুদ্ধের হাতিয়ার, গর্জে ওঠো আরেকবার’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্র সমাজ জেগেছে’, ‘সংগ্রাম না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ’, এই বাংলায় হবে না, বৈষম্যের ঠিকানা’, ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে ওঠো আরেকবার’, ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘এসো ভাই এসো বোন, গড়ে তুলি আন্দোলন’ সহ বিভিন্ন ধরনের ব্যানার, পোস্টার প্রদর্শন এবং কোটা রোধী এসব স্লোগান দিতে শোনা যায়।

চার দফা দাবিতে এ আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবিগুলো হলো-

১. ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে।

২. ‘১৮-এর পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে (সব গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে এবং কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। সেক্ষেত্রে সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে।

৩. সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে।

৪. দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS