ভিডিও

পাবনার ফরিদপুরে বড়াল নদীর ভাঙনে ১২টি বসতবাড়ি বিলীন

প্রকাশিত: জুলাই ১২, ২০২৪, ০৫:২০ বিকাল
আপডেট: জুলাই ১২, ২০২৪, ০৫:২০ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

ফরিদপুর (পাবনা) প্রতিনিধি : বড়াল নদীর ভাঙনে পাবনার ফরিদপুর উপজেলার পুঙ্গলী ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামের ১২টি বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও ১৫টি বাড়ি। ওই এলাকার ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য গোলজার হোসেন জানান, গত বছর থেকে ভাঙন শুরু হয়েছে।

এবার ভাঙন বেশি হওয়ায় রেজাউল হক,রাসেল হোসেন,রাজু আহমেদ,শুভ হোসেন,আফেল হোসেন,রিপন হোসেন,আবু সাঈদ, ইদ্রিস সরকার,সুলতান সরকার, সাইফ উদ্দিন, ইছাক মোল্লা ও শাহিন মোল্লার বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। বাড়িঘরের সাথে বাঁশঝাড় ও গাছপালাও নদীগর্ভে চলে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ও হুমকিতে রয়েছে, ইজন মোল্লা, লোকমান হোসেন, আলম হোসেন, উকিল হোসেন, হাসু মোল্লা, বাবু হোসেন, মনসের সরকার, স্বপন হোসেন, ইব্রাহিম হোসেন, সাদুল্লাহ হোসেন, ওহিদুল ইসলাম, মধু হোসেন, জাহিদ হোসেন ও শরিফ হোসেনের বাড়ি।

নদী ভাঙনের শিকার রেজাউল হক, রাসেল হোসেন, রাজু আহমেদ ও ইদ্রিস সরকার জানান, প্রায় শত বছর ধরে আমাদের বাপ-দাদারাসহ আমরা এখানে বসবাস করছিলাম। এখন গৃহহীন হয়ে গেলাম। জরিনা খাতুন ও আবেদা খাতুন বলেন, আমাদের দাদা শ্বশুররাও এখানে বাস করতেন। এখন আমরা গৃহহীন। ১৫ দিন আগে ওয়াপদা বাঁধে আশ্রয় নিয়েছি।

পুঙ্গলী ইউপি চেয়ারম্যান সুমন হোসেন তালুকদার জানান, ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘরগুলোর পাশে বড়াল নদীর ওপর একটি ব্রিজ নির্মাণ চলমান রয়েছে প্রায় ৩ বছর ধরে। এ ব্রিজের একটি পিলার নির্মাণের জন্য এ স্থানে বিশাল গর্ত করা হয়। কিন্তু ঠিকাদার প্রায় ২ বছর পিলার নির্মাণ বন্ধ রাখায় গত বছর এ স্থান দিয়ে পানির স্রোত তীব্র বেগে প্রবাহিত হওয়ায় এ ভাঙনের সৃষ্টি হয়।

এলাকার সংসদ সদস্য আলহাজ মকবুল হোসেনের সুপারিশ নিয়ে ফরিদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে বিষয়টি গত বছর পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হয়। প্রকৌশলী রাজিব হোসেন এসে সরেজমিনে পরিস্থিতি দেখে গেলেও তারা কোন ব্যবস্থা নেননি। ফলে এ বছর ভাঙন তীব্র হয়েছে,বাড়ি-ঘর বিলীন হয়ে যাচ্ছে।

এবারও নদীতে পানি বাড়ার আগেই পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হয়েছে। তারা কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এখন সংসদ সদস্য আলহাজ মকবুল হোসেনের সুপারিশ নিয়ে আরেকটি দরখাস্ত আগামী ১৪ জুলাই পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডকে দেওয়া হবে। এ ব্যাপারে পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের একজন প্রকৌশলীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তিনি বিষয়টি দেখে দ্রুতই ব্যবস্থা নেবেন।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS