ভিডিও

দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে স্কুলছাত্রকে আটকে রেখে টাকা আদায়ের চেষ্টার অভিযোগ

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৩, ২০২৪, ১০:০৮ রাত
আপডেট: অক্টোবর ১৩, ২০২৪, ১০:০৮ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে ৫ম শ্রেণির আবাসিক এক স্কুল ছাত্রকে পূজার ছুটিতে ৫ দিন আটকে রেখে টাকা আদায়ের চেষ্টার অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনাটি উপজেলার সুফফা রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুলে ঘটেছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, নওগাঁ জেলার সদর উপজেলার শৈলগাছি মকরামপুর পূর্ব পাড়ার রাশেদ হোসেনের ছেলে সাদিক হোসেন ঈসা (১২) সুফফা রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুলে আবাসিক ছাত্র হিসেবে ৫ম শ্রেণিতে পড়তো। গত ৯ অক্টোবর শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে স্কুল ছুটির দিনে ওই স্কুলছাত্রের পিতা স্কুলে তার ছেলেকে নিতে আসেন।

স্কুল কর্তৃপক্ষ দুই মাসের বেতন ১৬ হাজার টাকা পরিশোধের চাপ দেয়। ওই অভিভাবক স্কুল বন্ধের পর ছেলেকে দিতে এসে টাকা দিতে চাইলে স্কুল কর্তৃপক্ষ টাকা ছাড়া ছাত্রকে ছাড়বে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়। ওই অভিভাবক নিরুপায় হয়ে টাকা ম্যানেজ করতে নওগাঁ চলে যান।

প্রতিবেশীরা জানান, ৫ দিন ওই ছাত্রটি একাই ৬ তলা ভবনের নিচতলার বড় একটি কক্ষে তালাবদ্ধভাবে আটকে থাকে। ভবনের প্রতিবেশী বাসার লোকজন জানতে পেরে সাংবাদিককে জানালে ঘটনাটি জানাজানি হয়। ওই সাংবাদিক উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানালে তাৎক্ষণিক থানার অফিসার ইনচার্জ ঘটনাস্থলে এসে ওই ছাত্রকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।

ওই ছাত্র সাংবাদিকদের জানায়, স্কুল বন্ধের দিনে তার বাবা তাকে নিতে এসেছিল। স্যারেরা টাকার জন্য ছেড়ে দেননি। আব্বু টাকা আনতে গেছেন। ওই ছাত্রের পিতা রাশেদ হোসেন জানান, তার ছেলেকে নিতে এসে ৬ ঘন্টা বসিয়ে রেখে মিটিং করে জানিয়ে দেয়া হয়, অন্তত এক মাসের টাকা নিয়ে এসে ছেলেকে নিয়ে যেতে হবে।

এ পর্যন্ত ওই ছাত্র স্কুলের হেফাজতে থাকবে। পারিবারিক অনটনের কারণে টাকা ম্যানেজ করতে দেরি হয়েছে। সুফফা রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুলের পরিচালক এন্তাজ মুন্সী মুঠোফোনে জানান, ওই স্কুলছাত্রের পিতা তার ছেলেকে নিতে আসেননি। বাধ্য হয়েই তারা ছাত্রটিকে হেফাজতে রেখেছেন।

প্রতিবেশী সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জন গোলাম রব্বানী জানান, স্কুল ভবনের পাশেই তার বাসা। গত কয়েকদিন ধরে জানালা দিয়ে দেখছি একটি ছাত্র নিচতলার একটি কক্ষে আটকা। অনেক কষ্টে ওই ছাত্রের সাথে কথা বলি। সে পুরো ঘটনা জানালে, আমি সাংবাদিকদের খবর দেই। এটা অমানবিক।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আজনবী সরকার জানান, এটা অমানবিক। অভিযুক্ত ব্যক্তির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল হাসনাত খান জানান, ওই ছাত্রকে আজ রোববার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে উদ্ধার করে তার বাবার জিম্মায় দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় রাতে তার পিতা বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুরো ঘটনা তদন্তপূর্ব্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS