বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ঘুরে দাঁড়ানো চেষ্টা
সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধি : সোনাতলায় এবার ১৭৬০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও এই উপজেলার কৃষকেরা বেশি পরিমাণ জমিতে মরিচ চাষ করেছে। গত বছর ১৩২৬ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি পরিমাণ মরিচ চাষ হয়েছে। এবারও টার্গেটের চেয়ে প্রায় সাড়ে ৫শ’ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সোনাতলা উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়নে কৃষক আগাম জাতের মরিচের চারা উৎপাদন ও পরিচর্যা শুরু করে দিয়েছে। গতকাল সোমবার উপজেলার তেকানীচুকাইনগর, খাবুলিয়া, জন্তিয়ারপাড়া, ভিকনেরপাড়া, মহেশপাড়াসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় গিয়ে কৃষকদের মরিচ ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে করমজা এলাকার কৃষক আনারুল ইসলাম বলেন, তার পৈত্রিক ৭ বিঘা জমিতে হাইব্রিড বিজলী ও বিজলী প্লাস জাতের মরিচের চাষ করেছেন। পাকুল্লা এলাকার শামছুল হক বলেন, এবার তিনি চরের ৬ বিঘা জমিতে সনিক ও বিজলী ২০২০ জাতের মরিচ চাষ করেছেন। কর্পূর এলাকার কৃষক তোজাম্মেল হক দৈনিক করতোয়া’কে বলেন, এবার তিনি সাড়ে ৫ বিঘা জমিতে দেশীয় জাতের কারেন্ট মরিচ চাষ করেছেন।
তবে চরাঞ্চলের কৃষকেরা বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কোমড় বেঁধে মরিচ চাষে ঝুঁকে পড়েছে। চরাঞ্চলে শতশত বিঘা জমিতে এবার বিভিন্ন জাতের মরিচ চাষ করা হয়েছে। ওই এলাকার কৃষকেরা বলেছেন, তারা মরিচ উৎপাদন ও বিক্রি করে বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে চান। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সোহরাব হোসেন দৈনিক করতোয়া’কে বলেন, মরিচ একটি অর্থকরী ফসল।
প্রতিবছর টার্গেটের চেয়ে বেশি পরিমাণ জমিতে মরিচ চাষ হয়। এখানে সনিক, বিজলী, বিজলী প্লাস, কারেন্ট ও দেশীয় জাতের মরিচ চাষ হয় সবচেয়ে বেশি। কৃষক মরিচ উৎপাদন করে পারিবারিক চাহিদা মেটানোর পর বাজারে বিক্রি করে মোটা অংকের অর্থ ঘরে তুলতে পারে। তাই এই ফসলের প্রতি আগ্রহ বেশি দেখাচ্ছে কৃষক।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।