ভিডিও শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫

বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় গৃহবধু হত্যার দায় স্বীকার করলো ভাড়াটিয়া মাবিয়া ও সুমন

বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় গৃহবধু হত্যার দায় স্বীকার করলো ভাড়াটিয়া মাবিয়া ও সুমন

কোর্ট রিপোর্টার : বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় গৃহবধূ উম্মে সালমাকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে বাড়ির ভাড়াটিয়া মাবিয়া বেগম ও সুমন রবিদাসও। গতকাল রোববার  রাতে বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুমাইয়া সিদ্দিকা ও সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট  মেহেদী হাসানের কাছে তারা এই জবানবন্দি দেয়। ম্যাজিস্টেট তাদের দেয়া জবানবন্দি ১৬৪ ধারায় রেকর্ড করে তাদের কারাগারে পাঠিয়েছেন। রাত ১২ টা পর্যন্ত জবানবন্দি দেয়ার এই কার্যক্রম চলে।

এর আগে গত শুক্রবার গ্রেপ্তার আরও এক আসামি মোসলেমের দেয়া জবানবন্দিতে এই হত্যাকান্ডে ভাড়াটিয়া মাবিয়া ও সুমন জড়িত থাকার বিষয়টি উঠে আসে। মোসলেম বলে তারা তিনজন মিলেই সালমাকে হত্যা করে তার মরদেহ বাড়ির ডিপ ফ্রিজে লুকিয়ে রাখে।

পুলিশ সূত্র জানায়, ভাড়াটিয়া মাবিয়া বেগমকে অনৈতিক কাজ করতে নিষেধ করাসহ বাড়ি ছেড়ে দিতে বলায় তারা বাড়ির মালিকের স্ত্রী উম্মে সালমাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এর আগে মাবিয়া ও সুমনকে  দুই দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। রিমান্ড শেষে ২ আসামি সুমন রবিদাস ও মাবিয়া বেগমকে তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা গতকাল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আদালতে সোপর্দ করেন। এরপর তারা এই হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দি দেয়। পরে বিচারক তাদের জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।

এদিকে আজ সোমবার (১৮ নভেম্বর) পর্যন্ত এই মামলায় গ্রেপ্তার নিহত গৃহবধূ উম্মে সালমার ছেলে সাদ বিন আজিজুর রহমানের পক্ষে আদালতে জামিনের আবেদন করা হয়নি। উল্লেখ্য, ঘটনার চার মাস আগে ওই বাসার চারতলা একই উপজেলার উত্তর সাজাপুরের আইয়ুব আলীর স্ত্রী আসামি মাবিয়া বেগম (৫০) বাড়ি ভাড়া নেয়। এদিকে ভাড়াটিয়া মাবিয়া বেগমের অনৈতিক কার্যকলাপ গৃহকর্ত্রী সালমার নজরে আসে।

আরও পড়ুন

এরপর তিনি ও তার স্বামী আজিজুর রহমান ভাড়াটিয়া মাবিয়া আক্তারকে বাসা ছেড়ে দিতে বলেন। এতে ভাড়াটিয়া মাবিয়া আক্তর ওই দুই আসামি মোসলেম উদ্দিন ও সুমন রবিদাসকে ডেকে এনে গত ১০ নভেম্বর দুপচাঁচিয়া উপজেলার জয়পুরপাড়ায় নিজ বাড়িতে চেতনানাশক স্প্রে করে গৃহকত্রী সালমাকে হত্যা করে লাশ ঘরের ডিপ ফ্রিজে রেখে ঘরের আলমারী কুড়াল দ্বারা কুপিয়ে পালিয়ে যায়।

ওই ঘটনার পর নিহতের বড় ছেলে অজ্ঞাতনামা উল্লেখ করে দুপচাচিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরের দিন র‌্যাব সালমার ছোট ছেলে সাদকে আটক করে এবং র‌্যাব প্রেসবিফিং করে বলে জানায় যে, ছেলে সাদ তার মাকে হত্যা করেছে বলে র‌্যাবের কাছে স্বীকার করেছে। পুলিশ আদালত হতে সাদকে ৩ দিনের পুলিশ রিমান্ডে নেয়।

তবে এই মামলায় পুলিশ ওই ৩ আসামি মাবিয়া, মোসলেম ও সুমনকে গ্রেফতার করলে প্রকৃত রহস্য বের হয়ে আসে এবং ওই ৩ আসামিই স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি প্রদান করে। এতে স্পষ্ট হয় যে সাদ তার মাকে খুন করেনি।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

স্বপ্ন দেখে স্বপ্নভঙ্গের কষ্টই বোধহয় এদেশের ভাগ্য-আসিফ মাহমুদ

ড. ইউনূস ‘পদত্যাগের বিষয়ে ভাবছেন’: নাহিদ ইসলাম

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা পেল আসামি গ্রেপ্তারের ক্ষমতা

আমার র‍্যাম্প এখন ঢাকা শহরের রাস্তাঘাট: পিয়া জান্নাতুল

কুমিল্লায় দুর্বৃত্তের হামলায় নিহত যুবলীগ নেতা

শ্রীদেবীকে মনে করালেন জাহ্নবী