ভিডিও বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

যিশু সম্পর্কে অন্যান্য ধর্ম কি বলে?

যিশু সম্পর্কে অন্যান্য ধর্ম কি বলে?

মূলত গ্রিক আর লাতিন শব্দের সমন্বয়ে তৈরি এই ক্রিসমাস শব্দটি। Cristes শব্দটি গ্রীক Christos এবং লাতিন missa থেকে এসেছে। আবার প্রাচীন গ্রীসের Christos বানানের প্রথম অক্ষকটি লাতিন অক্ষর X এর সমরূপ। আর তাই ষোড়শ শতাব্দীর মধ্যভাগ থেকে এক্স অক্ষরটি খ্রিস্টের নামের শব্দ সংক্ষেপ হিসেবে ব্যবহার করা শুরু হয়।

বাইবেলে যিশুর জন্মতারিখের কোনও উল্লেখ না থাকলেও, প্রতি বছর ২৫ ডিসেম্বর দিনটি যিশুর জন্মদিন হিসেবেই পালন করা হয়। ইতিহাস বলে ২৪ ডিসেম্বর রাতে বেথেলহেমের এক গোশালায় কুমারী মা মেরীর কোলে জন্ম হয় যিশুর। তবে প্রথম কবে বড়দিন পালন করা হয়েছিল সেই নিয়ে দ্বিমত রয়েছে।

রোমান পঞ্জিকা অনুসারে, ২৫ মার্চ মেরী জানতে পারেন তিনি সন্তানসম্ভবা। সেইদিনই আবার ক্রুশবিদ্ধ করে যিশুকে হত্যা করা হয়। এর থেকে ৯ মাস পরই আসে ২৫ ডিসেম্বর। হিসেব মেলানো খুব একটা কঠিন নয়।

খ্রিস্টানরা বিশ্বাস করেন যে, বিশ্বে যিশুর একটি ‘স্বতন্ত্র গুরুত্ব’ রয়েছে। খ্রিস্টীয় মতবাদের অন্তর্ভুক্ত বিশ্বাসগুলির মধ্যে রয়েছে পবিত্র আত্মার প্রভাবে যিশুর গর্ভে প্রবেশ এবং মেরি নাম্নী এক কুমারীর গর্ভে জন্ম, যিশুর বিভিন্ন অলৌকিক কার্য সম্পাদন, চার্চ প্রতিষ্ঠা, প্রতিকার বিধানার্থে আত্মত্যাগ স্বরূপ ক্রুশারোহণে মৃত্যু, মৃত অবস্থা থেকে পুনর্জীবন লাভ, সশরীরে স্বর্গে আরোহণ, এবং ভবিষ্যতে তার পুনরাগমনে বিশ্বাস। অধিকাংশ খ্রিস্টানই বিশ্বাস করেন যে, যিশু ঈশ্বরের সঙ্গে মানুষের পুনর্মিলন ঘটানোর শক্তি রাখেন।

নাইসিন ধর্মমত অনুসারে, যিশু মৃতদের বিচার করবেন। এই বিচারকার্য সম্পাদিত হবে হয় তাদের শারীরিক পুনর্জীবন লাভের আগে অথবা পরে। এই ঘটনাটি খ্রিস্টীয় শেষবিচারবাদে যিশুর দ্বিতীয় আগমনের সঙ্গে যুক্ত। যদিও কেউ কেউ বিশ্বাস করেন যে, ত্রাণকর্তা রূপে যিশুর ভূমিকা মৃত্যুপরবর্তী জীবনের তুলনায় অনেকাংশেই জীবনবাদমূলক বা সমাজমূলক।


অল্প কয়েকজন উল্লেখযোগ্য ধর্মতত্ত্ববিদ বলেছেন যে, যিশু একটি বিশ্বজনীন পুনর্মিলন ঘটাবেন। খ্রিস্টানদের অধিকাংশই যিশুকে ত্রয়ীর তিন জন ব্যক্তির দ্বিতীয় ব্যক্তিত্ব ঈশ্বরপুত্রের অবতার রূপে পূজা করেন। খ্রিস্টানদের একটি সংখ্যালঘু অংশ সম্পূর্ণত বা অংশত ত্রয়ীবাদকে অশাস্ত্রীয় বলে প্রত্যাখ্যান করে।

ইসলাম ধর্মে যিশুকে (ইসলামে তিনি ঈসা নামে পরিচিত) ঈশ্বরের তথা আল্লাহর গুরুত্বপূর্ণ একজন নবী ও মসিহ বলে মনে করা হয়। মুসলমানেরা বিশ্বাস করেন যে, যিশু ছিলেন শাস্ত্র আনয়নকারী নবী তথা রাসূল। তিনি কুমারীগর্ভে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তবে তারা যিশুকে ঈশ্বরপুত্র মনে করেন না।

কুরআন অনুসারে, যিশু নিজে কোনওদিন নিজের ঈশ্বরত্ব দাবি করেননি। মুসলমানদের মতে, যিশু ক্রুশবিদ্ধ হননি। ঈশ্বর তাকে সশরীরে স্বর্গে তুলে নিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন

ইহুদি ধর্ম বিশ্বাস করে না যে, যিশুই সেই মসিহ যাঁর সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছিল।

ইহুদিদের মতে, ক্রুশে যিশুর মৃত্যুই প্রমাণ করে যে ঈশ্বর তাকে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। তারা যিশুর পুনর্জীবন লাভের ঘটনাটিকে একটি খ্রিস্টীয় কিংবদন্তি মনে করেন।

 

 

 

 

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বগুড়ায় সরেজমিন গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ

বগুড়ায় পৃথক মারপিটের ঘটনায় চারজন আহত  

পল্লীকবি জসীম উদদীনের মেজ ছেলে ড. জামাল আর নেই

জমিতে পানি দেওয়ার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু

চুয়াডাঙ্গায় দুই কোটি টাকার স্বর্ণসহ তিন পাচারকারী আটক

বগুড়া সদরের সাবেক এমপি অসুস্থ রিপুকে ঢাকায় প্রেরণ