ভিডিও রবিবার, ১৮ মে ২০২৫

কেঁচো সার তৈরি ও মাশরুম চাষে সফল কৃষি উদ্যোক্তা আজিম

কেঁচো সার তৈরি ও মাশরুম চাষে সফল কৃষি উদ্যোক্তা আজিম। ছবি : দৈনিক করতোয়া

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি : নাটোরের গুরুদাসপুরের কৃষি উদ্যোক্তা আজিম উদ্দিন কেঁচো সার তৈরি ও মাশরুম চাষ করে সাবলম্বী হয়েছেন। বাণিজ্যিকভাবে এখন তার ফার্মের কেঁচো কম্পোস্ট সার ও মাশরুম বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়। স্থানীয় কৃষি অধিদপ্তর থেকে করা হচ্ছে সার্বিক সহযোগিতা।

গুরুদাসপুর উপজেলা সদরের বিলচলন শহীদ সামসুজ্জোহা সরকারি অনার্স কলেজ সংলগ্ন এলাকায় আজিম উদ্দিনের কেঁচো সারের (ভার্মি কম্পোস্ট) খামার। তার তৈরি এ সার জমিতে ব্যবহার করে এলাকার কৃষক বিষমুক্ত ফসল ও সবজি উৎপাদন করতে সক্ষম হচ্ছেন। এছাড়া কৃষি অফিসের পরামর্শে রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমিয়ে মাটির গুণাগুণ ঠিক রাখতে কৃষকরা তার উৎপাদিত কেঁচো সার ব্যাপকভাবে ব্যবহারে ঝুঁকে পড়েছেন।

খামারনাচঁকৈড় মহল্লার কৃষি উদ্যোক্তা আজিম উদ্দিন শেখ ২০২২ সালে কৃষি অফিসের পরামর্শে তার আবাদ করা জমিতে ব্যবহারের জন্য সীমিত পরিসরে কেঁচো সার (ভার্মি কম্পোস্ট) তৈরির উদ্যোগ নেন। বগুড়া থেকে থাইল্যান্ডের কেঁচো কিনে প্রথমে অল্প করে শুরু করেছিলেন। প্রথমে সমালোচনা হলেও তার খামারে উৎপাদিত কেঁচো সার জমিতে ব্যবহারের পর ফলন ভালো পাওয়ায় আশপাশের কৃষকরা উদ্বুদ্ধ হন।

তখন থেকে জৈব সারের চাহিদা বাড়তে থাকায় ২০২৩ সালে এসে বাণিজ্যিকভাবে তৈরির সিদ্ধান্ত নেন। তার খামারে প্রতিদিন কেঁচো (ভার্মি কম্পোস্ট) সার ও টাইকো সার উৎপাদন হচ্ছে ১৭০-২০০ কেজি। প্রতি কেজি ১৬ টাকা বিক্রি হচ্ছে এই জৈব সার। মাস শেষে সকল খরচ বাদ দিয়ে তার আয় হয় প্রায় ৫০ হাজার টাকা। তিনি জৈব সার তৈরি পাশাপাশি মাশরুম চাষেও সফল হয়েছেন।

আরও পড়ুন

জৈব সার খামারের পাশেই তার ‘আমবিয়া মাশরুম ফার্ম’। দুই বছর আগে ঢাকা সাভার থেকে মাশরুম চাষ প্রশিক্ষণ নিয়ে এসে মাত্র ২০টি মাশরুম বেড তৈরির মাধ্যমে যাত্রা শুরু করেন। বর্তমানে তার ফার্মে রয়েছে প্রায় এক হাজার মাশরুম বেড। বেড তৈরির ১৫-২০ দিনের মধ্যে মাশরুম উৎপাদন হয়। প্রতিদিন ৩-৪ কেজি মাশরুম উত্তোলন করেন তিনি। প্রতি কেজি মাশরুমের দাম পান ৩৫০-৪০০ টাকা। মাসে তার সকল খরচ বাদ দিয়ে মাশরুম থেকে আয় হয় প্রায় ২০ হাজার টাকা। তার ফার্মের মাশরুম এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।

আজিম উদ্দিন শেখ জানান, শুরুটা তার জন্য অনেক কঠিন ছিল। তবে এখন তিনি সাবলম্বী। কেঁচো সার ও মাশরুম থেকে প্রতি মাসে তার আয় এখন ৬০-৭০ হাজার টাকা। নিজের জমিতে অনেক আগে থেকেই বিভিন্ন সবজি চাষ করতে তিনি। কৃষি অফিসের পরামর্শে এগুলো শুরু করে এখন তিনি সফল।

গুরুদাসপুর উপজেলা কৃষি অফিসার হারুনর রশিদ বলেন, আজিম উদ্দিন শেখ একজন কৃষি উদ্যোক্তা। তিনি জৈব সার তৈরির আগ্রহ দেখানোর কারণে তাকে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দিয়ে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করা হয়। এছাড়াও তার মাশরুম চাষ করার জন্য কৃষি অফিস থেকে একটি ঘর তৈরি করে দেওয়া হয়েছিল। আজিম উদ্দিনের দেখে অনেকেই মাশরুম ও জৈব সার তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করছেন।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

লালমনিরহাটে পাটশাক চাষে আগ্রহী বেশি চাষিরা

আজকের শিশুরা আগামী দিনে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবে : সাবেক এমপি লালু

জয়পুুরহাটের পাঁচবিবিতে বুপ্রেনরফিন ইঞ্জেকশনসহ গ্রেফতার ২

বগুড়ার খামারে খামারে প্রস্তুত কুরবানির পশু, গো-খাদ্যের দাম না বাড়ায় স্বস্তি

বগুড়া সারিয়াকান্দির চরাঞ্চলে ভুট্টা ও মরিচ থেকেই ৫শ কোটি টাকা কৃষকের ঘরে

বগুড়ার শেরপুরে আ‘লীগ ও ছাত্রলীগের দুই নেতা গ্রেফতার