ভিডিও মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫

পরিবেশ বিপর্যয়ে জাহাজ ভাঙা শিল্প

পরিবেশ বিপর্যয়ে জাহাজ ভাঙা শিল্প। ছবি: দৈনিক করতোয়া

জাহাজ ভাঙা শিল্প বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা বিশেষ করে চট্টগ্রামের উপকূলীয় অঞ্চলে কেন্দ্রিত। এই শিল্প থেকে পাওয়া ধাতব পদার্থ ও অন্যান্য উপাদান পুনর্ব্যবহারযোগ্য হওয়ায় এটি অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। উক্ত শিল্প জাতীয় অর্থনীতিতেও কার্যকর ভূমিকা পালন করে তা কারোর অস্বীকার করার সাধ্য নেই।

তবে এর পরিবেশগত প্রভাবও অত্যন্ত গুরুতর। জাহাজ ভাঙা শিল্পের মাধ্যমে তৈরি হওয়া বিপুল পরিমাণ বর্জ্য এবং দূষণ পরিবেশকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। ছোট করে একটু জেনে নেয়া যাক জাহাজ ভাঙা শিল্প কাকে বলে? জাহাজ ভাঙা শিল্প হলো পুরোনো, অচল বা অব্যবহৃত জাহাজগুলোকে ভেঙে ফেলার প্রক্রিয়া, যেখানে জাহাজের ধাতব পদার্থ এবং অন্যান্য উপকরণ পুনঃব্যবহারযোগ্য হিসেবে সংগ্রহ করা হয়।

এই প্রক্রিয়ায় জাহাজের লোহা, ইস্পাত, তেল, বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ, আসবাবপত্র এবং অন্যান্য উপকরণকে আলাদা করে বিভিন্ন শিল্পে পুনঃব্যবহারের জন্য সরবরাহ করা হয়। বিভিন্ন পরিসংখ্যান অনুসন্ধান করে  জানা যায়, ১৯৬০-এর দশকে জাহাজ ভাঙা শিল্পের কার্যক্রম শুরু হয় চট্টগ্রামে এবং বর্তমানে এটি দেশের অন্যতম প্রধান শিল্প খাতে পরিণত হয়েছে।

১৯৬০ সালে চট্টগ্রাম উপকূলে সংঘটিত এক প্রচন্ড ঘূর্ণিঝড়ের তান্ডবে গ্রিক জাহাজ ‘এমডি আলপাইন’ চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে  বঙ্গোপসাগরের তীরে আটকে যায়। জাহাজটি আর সাগরে ভাসানো সম্ভব না হওয়ায় সেখানেই বেশ কয়েক বছর পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে। পরবর্তীতে ১৯৬৫ সালে চট্টগ্রাম স্টিল হাউস কর্তৃপক্ষ জাহাজটি কিনে নেয় এবং সম্পূর্ণ জাহাজ কয়েক বছর ধরে ভেঙে স্ক্র্যাপে পরিণত করে। দেশে এখান থেকেই মূলত জাহাজ ভাঙা শিল্পের যাত্রা শুরু।

১৯৭১ সালে মহান  মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি জাহাজ ‘আল আব্বাস’ মিত্র বাহিনীর গোলাবর্ষণে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে এটি উদ্ধার করে ফৌজদারহাট সমুদ্রতীরে আনা হয়। ১৯৭৪ সালে কর্ণফুলী মেটাল ওয়ার্কস লিঃ নামের একটি স্থানীয় প্রতিষ্ঠান জাহাজটি কিনে নেয় এবং স্ক্র্যাপ হিসেবে বিক্রি করে। ঠিক এভাবেই শুরু হয় স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের জাহাজ ভাঙা শিল্পের কার্যক্রম।

বাংলাদেশে জাহাজ ভাঙা শিল্পের ইতিহাস বেশ পুরনো, তবে ১৯৮০-৯০-এর দশকে এটি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়। বর্তমানে, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জাহাজ ভাঙার দেশ হিসেবে বাংলাদেশ পরিচিত, প্রথম স্থানে রয়েছে ভারত। বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ২০-২৫ মিলিয়ন টন জাহাজ ভাঙা হয়, যার অধিকাংশ আসে পুরোনো পণ্য পরিবহনকারী জাহাজ থেকে। বিশ্বব্যাপী ২০২২ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ১২ মাসে বিশ্বে জাহাজ ভাঙা শিল্পের ৫২.৪% (৮.০২ মিলিয়ন টন) জাহাজ বাংলাদেশে ভাঙা হয়েছে।

দেশে প্রায় ১২০টি শিপ রিসাইক্লিং ইয়ার্ডের মধ্যে ৫০টি সম্পূর্ণরূপে চলমান রয়েছে। বর্তমানে দেশের জন্য এটি আজ একটি বড় ও লাভজনক শিল্পে পরিণত হয়েছে। এমনকি উক্ত শিল্প প্রতি বছর কর প্রদানের মাধ্যমে সরকারি  কর্তৃপক্ষের  কাছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব প্রদান করে। জাহাজ ভাঙার শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রতি বছর প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার মূল্যের জাহাজ ভাঙা হয়, যা দেশের রপ্তানি আয়ের ১-২% পড়হঃৎরনঁঃবং করতে পারে।

যা জাতীয় অর্থনীতিকে একধাপ এগিয়ে নিতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশের প্রধান বন্দর নগরী চট্টগ্রামের উত্তর - পশ্চিমাংশে বঙ্গোপসাগরের উত্তর উপকূল ঘেঁষে ভাটিয়ারী থেকে শুরু করে সীতাকুন্ড থেকে কুমিরা পর্যন্ত প্রায় ২৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে জাহাজ ভাঙা শিল্পখাত বিস্তার লাভ করেছে। চট্টগ্রাম উপকূলে বিশেষত সীতাকুন্ড এবং কক্সবাজার এলাকায় বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম জাহাজ ভাঙার অঞ্চল অবস্থিত। বাংলাদেশে প্রায় ৩০% জাহাজ ভাঙার কাজ হয়ে থাকে এবং বিশ্বের ৮০%-এর বেশি জাহাজ বাংলাদেশে আনা হয় পুনর্ব্যবহারের জন্য।

জাহাজ ভাঙা শিল্পের পরিবেশগত সমস্যা অত্যন্ত ভয়াবহ। নিম্নমানের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা এবং বর্জ্য নিষ্কাশন প্রক্রিয়ার অনুপস্থিতির কারণে এই শিল্প মারাত্মক পরিবেশ দূষণ ঘটাচ্ছে। পুরোনো জাহাজগুলোতে থাকা অ্যাসবেস্টস, পারদ, সীসা, ক্যাডমিয়াম, এবং তেল সমুদ্র ও মাটিতে মিশে দূষণ সৃষ্টি করে। এছাড়া, জাহাজ ভাঙার সময় নির্গত ধাতব ধুলো এবং অন্যান্য রাসায়নিক উপাদান বাতাসেও ব্যাপক দূষণ ঘটায়।

প্রথমত, জাহাজের তলদেশ থেকে নিঃসৃত তেল ও অন্যান্য রাসায়নিক পদার্থ সমুদ্রে মিশে জলজ প্রাণীর জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বাংলাদেশে ২০১০ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত প্রায় ৪০% জাহাজ ভাঙা স্থানে বিপুল পরিমাণ প্লাস্টিক দূষণ এবং রাসায়নিক অপচয় পরিলক্ষিত হয়েছে।

বাংলাদেশে জাহাজ ভাঙা শিল্পের কারণে সমুদ্রের পানিতে প্রায় ১০০,০০০ টন তেল এবং রাসায়নিক পদার্থের দূষণ ঘটে। এছাড়াও প্রায় ১০০,০০০ টন রাবার, ৩০,০০০ টন অ্যালুমিনিয়াম, ৭০,০০০ টন স্টিল এবং অন্যান্য বিপজ্জনক ধাতু জমে থাকে এবং যা পরবর্তীতে বিভিন্ন মাধ্যমে পরিবেশে ছড়িয়ে পড়ছে। সীতাকুন্ড অঞ্চলে প্রায় ৩০% জীববৈচিত্র্য হ্রাস পেয়েছে, যেখানে প্রাকৃতিক পরিবেশে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। সামুদ্রিক জীবন, বিশেষত মাছ এবং কচ্ছপ, মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জাহাজ ভাঙার কারণে। জাহাজ ভাঙা প্রক্রিয়ায় ৫০০,০০০ টনের বেশি প্লাস্টিক বর্জ্য এবং অন্যান্য বিপজ্জনক উপকরণ নিষ্কাশন করা হয়, যার ফলে স্থানীয় পরিবেশে দূষণের মাত্রা বৃদ্ধি পায়।

আরও পড়ুন

এছাড়া, এই দূষণের ফলে সমুদ্রের পানিতে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যায়, যা মৎস্যসম্পদ ও সমুদ্রের জীববৈচিত্র্যের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। জাহাজ ভাঙার সময় বাতাসে নির্গত হওয়া ধাতব কণা এবং ক্ষতিকর গ্যাসসমূহ বাতাসের গুণগত মানকে ব্যাপকভাবে কমিয়ে দেয়। বিশেষ করে আশেপাশের বাসিন্দাদের জন্য এটি শ্বাসকষ্ট, ফুসফুসের রোগসহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি করে। জাহাজ থেকে নির্গত ভারী ধাতু ও রাসায়নিক পদার্থ মাটির সাথে মিশে গিয়ে মাটির উর্বরতা কমিয়ে দেয় এবং কৃষিজমি ও উদ্ভিদজগতের জন্য ক্ষতিকর হয়।

এই ধরনের দূষণের ফলে দীর্ঘমেয়াদী পরিবেশগত ক্ষতি ঘটে। বাংলাদেশে এই শিল্পে প্রায় ১,০০,০০০ শ্রমিক কর্মরত রয়েছেন, যারা সরাসরি জাহাজ ভাঙা, চূর্ণকরণ, এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপকরণ সংগ্রহের কাজে যুক্ত। তবে তাদের অধিকাংশই অশিক্ষিত এবং ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করেন। ২০১০ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে প্রায় ৯০০ শ্রমিক মৃত্যুরণ করেন বা গুরুতর আহত হন বিভিন্ন দুর্ঘটনার ফলে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতি বছর প্রায় ২০০-৩০০ শ্রমিক মৃত্যুরণ করেন এবং প্রায় ৫০০-৬০০ শ্রমিক আহত হন।

এই শিল্পে কাজ করা শ্রমিকদের গড় আয়ু দেশের অন্যান্য মানুষের তুলনায় ২০ বছর কম, যা তাদের কাজের ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশের প্রতিফলন। অধিকাংশ সময় নিরাপত্তা সরঞ্জাম ছাড়াই তারা কাজ করে, যা তাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ভয়াবহ ক্ষতির কারণ হয়।

সীতাকুন্ড এবং আশপাশের এলাকাগুলোর পরিবেশে মারাত্মক দূষণ ছড়িয়ে পড়ে। অ্যাসবেস্টস ও অন্যান্য ক্ষতিকারক পদার্থের সংস্পর্শে এসে শ্রমিকরা ফুসফুসের রোগ, ত্বকের সমস্যা এবং ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হয়। সীতাকুন্ডের ৫টি গ্রাম (যেমন- গুলিয়াখালী, কলাতলী, মেরিন পল, আকবর শাহ, কাচ্চাপোল) সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কৃষি জমি, জলাশয়, বাগান এবং সমুদ্রের উপর নির্ভরশীল মানুষের জীবনমানের অবনতি ঘটছে। জাহাজ ভাঙা শিল্পের জন্য আন্তর্জাতিক বিধি সমূহের মধ্যে অন্যতম হলো- বাসেল কনভেনশনস ১৯৮৯, হংকং কনভেনশনস ২০০৯, আইএলও’র পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য কনভেনশন ১৯৮১, পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা-সংক্রান্ত আইএলও গাইডলাইনস ২০০১ এবং আইএমও গাইডলাইনস ২০১২।

এছাড়া জাতীয় পর্যায়ে এ শিল্পের জন্য ১২টি আইন ও প্রবিধান প্রণীত হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার ঝযরঢ় ইৎবধশরহম ধহফ জবপুপষরহম অপঃ, ২০১৭ আইনটি প্রণয়ন করেছে, তবে বাস্তবায়ন ও পর্যবেক্ষণ দুর্বল। আইনটি জাহাজ ভাঙার প্রক্রিয়াকে আরও সুরক্ষিত এবং পরিবেশবান্ধব করার চেষ্টা করছে, তবে অনেক প্রতিষ্ঠান এই আইন অমান্য করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু), আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (হু) এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি এই শিল্পে শ্রমিকদের সুরক্ষা এবং পরিবেশ রক্ষায় বাংলাদেশ সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। তবে আশার কথা এই যে, কিছু উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে যা পরিবেশগত বিপর্যয়ের মাত্রা কমাতে সহায়ক হতে পারে।

কিছু প্রতিষ্ঠানে এলেকট্রনিক স্ক্র্যাপ বা নতুন পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপকরণ ব্যবহারের মাধ্যমে ক্ষতির পরিমাণ কমানো সম্ভব। অনেক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান জাহাজ ভাঙার নতুন প্রযুক্তি অনুসরণ করছে যা পরিবেশের ওপর প্রভাব কমাতে পারে, যেমন গ্রিন শিপ ব্রেকিং পদ্ধতি, যা পরিবেশ এবং শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখে। বাংলাদেশ সরকার ২০২৫ সালের মধ্যে হংকং কনভেনশনের মান অর্জনের লক্ষ্যে কাজ করছে, যা পরিবেশবান্ধব জাহাজ রিসাইক্লিং নিশ্চিত করবে।

জাহাজ ভাঙা শিল্প বাংলাদেশের জন্য অর্থনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলেও, এর পরিবেশগত বিপর্যয় এবং শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে এটি উন্নত ব্যবস্থাপনার আওতায় আনা প্রয়োজন। পরিবেশ এবং জনস্বাস্থ্য রক্ষা করে কিভাবে এই শিল্পকে টেকসইভাবে পরিচালনা করা যায়, সে বিষয়ে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা গ্রহণ করা অত্যাবশ্যক। জাহাজ ভাঙা শিল্পের পরিবেশগত দিক নিয়ে পেপার পত্রিকা, সোস্যালমিডিয়া, রেডিও, টেলিভিশন, সভা সেমিনার পরিচালনা করতে হবে। প্রকৃতির বিপরীতে গিয়ে মানুষ তথা গোটা জীবজগত পৃথিবীতে টিকে থাকার কথা কল্পনা করা আর বোকার স্বর্গে বাস করা প্রায় একই কথা।

পরিবেশগত ঝুঁকির দিকগুলো চিহ্নিত করে তা কীভাবে দূর করার মাধ্যমে এই বিকাশমান শিল্পকে এগিয়ে নেওয়া যায়, সেটা খতিয়ে দেখা এখন সময়ের দাবি। পরিশেষে উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থ এর বিখ্যাত উক্তির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে আমরাও বলি- "প্রকৃতি কখনো তাকে আঘাত করেনা যে হৃদয় তাকে ভালবেসেছে"

 

অমৃত চিছাম
লেখক : শিক্ষার্থী, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়
ত্রিশাল, ময়মনসিংহ

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বান্দরবানে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী আটক

কখন কারামুক্ত হবেন লুৎফুজ্জামান বাবর?

লস অ্যাঞ্জেলেসের নতুন এলাকায় ছড়িয়েছে দাবানল, মৃ ত বেড়ে ২৪ | Los Angeles Wildfire | International

সিরাজগঞ্জে অস্ত্র মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন

কুড়িগ্রাম ভূরুঙ্গামারীর চরাঞ্চলের বেগুন যাচ্ছে দেশের সর্বত্র