রংপুরের কাউনিয়ায় ভাতিজার মারপিটে চাচার মৃত্যু
কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি : রংপুরের কাউনিয়া উপজেলায় ভাতিজাদের মারপিটে চাচার মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। নিহত ব্যক্তির নাম আমজাদ হোসেন (৫৫)। তিনি উপজেলার শহীদবাগ ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের বুদ্ধিরবাজার এলাকার মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে এবং শহীদবাগ ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি রোমান আহমেদ হৃদয়ের বাবা।
এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ। মামলায় দায়েরের পরপরই গোলাপী বেগম (৩২) নামের এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বুধবার পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহতের মামাতো ভাই ও শহীদবাগ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রাজু মিয়া বলেন, আমজাদ হোসেন সাথে দীর্ঘদিন ধরে জায়গা-সম্পত্তি নিয়ে তার ভাতিজা শহিদুলের বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে ল্যান্ড সার্ভে আদালতে মামলা চলামান রয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার বালাপালা ইউনিয়নের গের্দ্দবালাপাড়া চান্দের ভিটা এলাকায় শহিদুল লোকজন নিয়ে বিরোধপূর্ণ জমিতে জোরপূর্বক ভেকু লাগিয়ে মাটি কাটার চেষ্টা করে।
এসময় বিরোধপূর্ণ জমি থেকে মাটি কাটতে বাধা দেন আমজাদ হোসেন। বিষয়টি নিয়ে উভয়পক্ষের বাগবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে ভাতিজা শহিদুল ও তার লোকজন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আমজাদ হোসেনকে মারপিট করলে তিনি ঘটনাস্থলেই আহত হন।
এসময় চিৎকারে স্বজন ও স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে রাতেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে রাত ৩টার দিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে যাওয়ার পথে তিনি মারা যান। পরে স্বজনরা নিহতের মরদেহ কাউনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। গত বুধবার সকালে সেখান থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুনএদিকে জমিজমার বিরোধকে কেন্দ্র করে শহীদবাগ ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি রোমান আহমেদ হৃদয়ের বাবাকে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানিয়েছে উপজেলা ছাত্রদল। আজ বুধবার (১৫ জানুয়ারি) উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক জাহিদ হাসান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়েছে।
কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ বলেন, গতকাল মঙ্গলবার রাতে গের্দ্দবালাপাড়া চান্দের ভিটা এলাকায় বিরোধপূর্ণ জমিতে মাটি কাটাকে কেন্দ্র করে মারামারির খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। মারপিটে মৃত্যুর খবর পেয়ে নিহত আমজাদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে নিহতের বড় ছেলে রায়হান বাদি হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। মামলার এজাহারভুক্ত ৭ নাম্বার আসামি এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ঘটনার সাথে জড়িত বাকিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে বলে জানান ওসি।
মন্তব্য করুন