দিনাজপুরে ৮০৫৫ হেক্টর জমিতে তৈরি হচ্ছে বীজতলা, চলছে বোরো রোপণের প্রস্তুতি
দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি : অব্যাহত তীব্র শীত আর উত্তর পশ্চিমের হিমেল বাতাস উপেক্ষা করেই বোরো চাষের প্রস্তুতি নিচ্ছে ধানের জেলা দিনাজপুরের কৃষকরা। বীজতলা পরিচর্যার পাশাপাশি অনেকেই এখন চারা রোপণের জন্য শুরু করেছে জমি তৈরির কাজ। এখন পর্যন্ত তুলনামূলক অনুকূল আবহাওয়া থাকায় আমনের মতো বোরো ধানেরও ভালো ফলনের আশা করছে কৃষকরা।
কৃষকরা জানান, বোরো বীজতলা তৈরি হতে সাধারণত ৪৫ থেকে ৫০ দিনের প্রয়োজন হয়। কোন কোন ক্ষেত্রে ৬০ দিনেরও প্রয়োজন হয় বীজতলা তৈরি করতে। এজন্য অনেকেই ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময় থেকেই বোরো বীজ বপন করেছেন। এখন চলছে বীজতলা পরিচর্যার কাজ। কৃষকরা জানান, তীব্র শীতেও এবার অনুকূল আবহাওয়া বিরাজমান থাকায় বীজতলার অবস্থা ভালো।
মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারাও জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারের শীতে এখন পর্যন্ত বীজতলার তেমন ক্ষতি হয়নি। গতকাল রোববার দিনাজপুর সদর উপজেলার কর্ণাই গ্রামে নবকৃষ্ণ রায় নামে এক কৃষক করছিলেন বোরো বীজতলা পরিচর্যার কাজ। তিনি বলেন, প্রতিবছর আমন ধান ঘরে তোলার পরই তারা প্রস্তুতি নেয় বোরো আবাদের। এজন্য বীজতলা তৈরির জন্য ইতোমধ্যেই বপন করেছেন বোরো ধানের বীজ। বীজতলাও বড় হয়ে গেছে। আর কয়েকদিনের মধ্যেই রোপণ করা যাবে।
আরও পড়ুনএজন্য জমি তৈরির জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন। তিনি বলেন, অন্যান্য বছর লাগাতার বেশ কয়েকদিন ধরে কুয়াশা থাকলেও এবার কুয়াশা হলেও দিনের বেলা সূর্যের আলো দেখা গেছে বেশিরভাগ সময়। রাতে কুয়াশা থাকলেও দিনের বেলায় সূর্যের আলো থাকলে তা বীজতলার জন্য তেমন ক্ষতি হয় না। সেই হিসেবে এবার আবহাওয়াটা এখন পর্যন্ত ভালো রয়েছে।
দিনাজপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. নুরুজ্জামান জানান, দিনাজপুর জেলায় এবার ১ লাখ ৭৫ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সে লক্ষ্যে জেলায় ৮ হাজার ৫৫ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরির কাজ চলছে। তিনি বলেন, অনুকূল আবহাওয়া থাকলে এবার আমনের মতো বোরো ধানেরও ভালো ফলন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন