ভিডিও শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫

রাজবাড়ীতে সাফিন হত্যায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৬ জনের যাবজ্জীবন

রাজবাড়ীতে সাফিন হত্যায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৬ জনের যাবজ্জীবন

রাজবাড়ীতে বালু ব্যবসায়ী সাফিন খান (৪০) হত্যা মামলায় দুইজন কে মৃত্যুদণ্ড ও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

আজ সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেল ৫টায় রাজবাড়ী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোসাম্মৎ জাকিয়া পারভীন চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কুষ্টিয়ার খোকসা জেলার আমবাড়িয়া গ্রামের সালাম মন্ডলের ছেলে আরিফুজ্জামান আরিফ ও একই গ্রামের ইব্রাহীম প্রামানিকের ছেলে রুহুল আমিন প্রামানিক।

যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলো রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার সেনগ্রামের মুরাদ মন্ডলের ছেলে সামাদ মন্ডল, শাজাহান প্রামানিকের ছেলে ওয়াহেদ আলী প্রামানিক, পাবনা সদর উপজেলার আকাই কাজীর ছেলে রশিদ কাজী, খোকসা উপজেলার আমবাড়িয়া গ্রামের সাত্তার মোল্লার ছেলে রাজীব মোল্লা, একই গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে সবুজ মোল্লা ও মোতালেব মোল্লার ছেলে সাগর মোল্লা। মৃত সাফিন খান কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার আমবাড়িয়া গ্রামের বক্কার খানের ছেলে।

আরও পড়ুন

আদালত ও মামলা সূত্রে জানা যায়, সাফিন খান দীর্ঘ ১৮ বছর সৌদি আরব ছিলেন। সেখান থেকে দেশে ফিরে বালুর ব্যবসা শুরু করেন। ২০১৭ সালের ১৭ ডিসেম্বর তারিখে পাংশা উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামে একটি ফসলি ক্ষেত থেকে সাফিন মন্ডলের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগের দিন ১৬ ডিসেম্বর তারিখে সে বাড়ি থেকে বের হয়েছিল। সাফিনের মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তার বড় ভাই ফরিদ হাসান বাদী হয়ে পাংশা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেখানে পাঁচজনকে অভিযুক্ত করা হয়। তবে, পুলিশ মামলাটির তদন্ত করতে গিয়ে ওই পাঁচজনসহ আর ছয়জনের মোট ১১ জনের সম্পৃক্ততা পায়। তদন্ত শেষে ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দেওয়া হয়। মূলত বালুর ব্যবসাকে কেন্দ্র করেই তাকে হত্যা করা হয়। আদালত মামলার কাগজপত্র পর্যালোচনা ও সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে দুই জনকে মৃত্যুদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, ছয়জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে ২০১ ধারায় প্রত্যেককে সাত বছরের কারাদণ্ড ও তিন হাজার টাকা জরিমানা করেন। রায় ঘোষণার সময় দন্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আরিফুজ্জামান আরিফ ও যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত রশিদ কাজী অনুপস্থিত ছিলেন। মামলার অপর তিন আসামি সেলিম রানা, রতন মোল্লা ও কবীরুল ইসলাম সুমনের বিরুদ্ধে হত্যায় সংশ্লিষ্টতার কোনো প্রমাণ না পাওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।

রাজবাড়ী আদালতের পিপি আব্দুর রাজ্জাক (২) বলেন, এটি একটি চাঞ্চল্যকর মামলা ছিল। আদালত যে রায় দিয়েছেন তাতে তিনি খুশী। এ রায়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে জুমার পর সমাবেশ

ভারতকে ‘সিনেমা’ থেকে ‘বাস্তব’ জগতে ফিরে আসার আহ্বান পাকিস্তানের

আইভী গ্রেফতার

ঢাবির টিএসসি ও কলাভবন ক্যাফেটেরিয়ায় ২ টি পানির ফিল্টার স্থাপন

‘ব্যান, আওয়ামী লীগ’ স্লোগানে উত্তাল যমুনা

যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার পাকিস্তানি দাবির বিষয়ে চুপ ভারত