১৬ বছর যাবৎ নাগরিত্ব বঞ্চিত
বগুড়ায় ৩ দফা দাবিতে পর্দানশীন নারীদের মানববন্ধন

স্টাফ রিপোর্টার : আজ বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় শহরের সাতমাথায় মানববন্ধন করেছে পর্দানশীল নারীরা। মানববন্ধন শেষে তিন দফা দাবিতে জেলা নির্বাচন অফিসার ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।
জাতীয় পরিচয় পত্রসহ যাবতীয় পরিচয় যাচাই-বাছাইয়ে চেহারা সনাক্ত করতে ছবি মেলানোর পদ্ধতি বাতিল এবং আধুনিক ফিঙ্গার প্রিন্ট এর মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে পর্দানশীল অর্ধশতাধিক নারী।
মানববন্ধন চলাকালে পর্দানশীল নারী ওয়ালিদা খাতুন বলেন, মানুষের মুখের ছবি পরিবর্তনশীল। সময়ের সাথে সাথে মানুষের চেহারার পরিবর্তন হয়। মুখচ্ছবি মানুষের পরিচয়ের নির্ভরযোগ্য মাধ্যম নয়। অথচ এই অজুহাতে পর্দানশীল নারীদের বিভিন্ন রকমের নাগরিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে।
অপরদিকে চেহারার মিল থাকায় সেটাকে পুঁজি করে প্রায় আড়াই লক্ষ রোহিঙ্গা বাংলাদেশী পাসপোর্ট ব্যবহার করে বিদেশে পারি জামাচ্ছে, কিন্তু যখন ফিঙ্গারপ্রিন্ট যাচাই-বাছাই শুরু হয় তখন তাদের প্রতারণা ধরা পরে এবং সমস্যার সমাধান হয়।
আরও পড়ুনপর্দানশীল নারীদের জাতীয় পরিচয় পত্র দিতে আইনে কোন বাঁধা নেই। পরিচয় নিবন্ধন আইন ২০১০ এবং ২০২৩ এ পরিচয় সনাক্তে চেহারার ছবির কথা উল্লেখ নেই এমনকি বায়োমেট্রিক যাচাইয়ে ফেসিয়াল রিকগনিশন বাধ্যতামূলক করা হয়নি। তারপরেও স্বৈরাচারী মনোভাব থেকে পর্দানশীল নারীদের নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে সাবেক ইসি কর্মকর্তারা।
এ ছাড়াও পর্দানশীল নারীদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়া সময় পুরুষ নয়, নারী কর্মকর্তাকে দিয়ে করতে হবে। যদি আমাদের এই নৈতিক দাবি না মানা হয় তাহলে বগুড়া জেলাসহ দেশব্যাপী ধর্মপ্রাণ মুসলমান ও পর্দানশীল নারীরা বৃহৎ পরিসরে আন্দোলনে নামবে বলে হুশিয়ার উচ্চারণ করেন।
মন্তব্য করুন