ভিডিও বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

শেষ ওভারের নাটকীয়তায় ফাইনালে চিটাগং

শেষ ওভারের নাটকীয়তায় ফাইনালে চিটাগং

স্পোর্টস ডেস্ক:  শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণের জন্য শেষ বল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় ক্রিকেট ভক্তদের। ২০ ওভারের খেলা শেষ ওভারেই নাটকীয়তার জন্ম দেয়। ২০তম ওভারের জয়ের জন্য চিটাগাং কিংসের প্রয়োজন ছিল ১৫ রান। মুশফিক হাসানের করা ওভারের প্রথম বলে চার মেরে কিংস ভক্তদের স্বপ্ন দেখান আরাফাত সানি। তৃতীয় বলে আলিস আল ইসলাম রিটায়ার্ড হয়ে ওঠে যান। পরে উইকেটে এসে প্রথম বলেই বাউন্ডারি হাঁকান শরিফুল। এর পরের বলেই আউট হয়ে যান তিনি। ফলে আবারো মাঠে নামেন আলিস। তখন সমীকরণ দাঁড়ায় এক বলে চার রানে। শেষ বলে চার মেরে  জয় নিশ্চিত করেন আলিস।


মিরপুরে ১৬৪ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে খেলতে নেমে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছেছে চিটাগাং। শুরুতে পারভেজ হোসেন ইমনকে হারায় চিটাগাং। ৪ রান এসেছে এই ওপেনারের ব্যাট থেকে। একই পথে হেটেছেন গ্রাহাম ক্লার্কও। তাতে ৩৫ রানেই ২ উইকেট হারায় কিংসরা। 

তৃতীয় উইকেট জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় চিটাগাং। খাজা নাফি ও হোসেন তালাত মিলে যোগ করেন ৭০ রান। তালাত করেছেন ৪০ রান। আর নাফির ব্যাট থেকে এসেছে ৪৬ বলে ৫৭ রান।


১০৫ রানে ৩ উইকেট থেকে ১৩০ রানে যেতে আরো ৪ উইকেট হারায় চিটাগাং। শামিম হোসেন-মোহাম্মদ মিঠুনদের ব্যর্থতায় তখন অনেকটা ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় তারা। তবে শেষদিকে চমক দেখিয়েছেন সানি ও আলিস। দুজনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ফাইনালের টিকিট পেয়েছে দল। আলিস ৭ বলে করেছেন অপরাজিত ১৭ রান। আর সানি ১৩ বল খেলে অপরাজিত ছিলেন ১৮ রানে।

 

আরও পড়ুন

এর আগে ব্যাটিংয়ে শুরুটা মোটেও ভালো করতে পারেনি খুলনা। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই সাজঘরে ফেরেন মেহেদি হাসান মিরাজ। বিনুরা ফার্নান্দোর ভালো লেংথের বলে লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন তিনি। ৬ বল খেলে ২ রানের বেশি করতে পারেননি অধিনায়ক।

তিনে নেমে ব্যর্থ অ্যালেক্স রস। ৬ বল খেলেও রানের খাতাই খুলতে পারেননি তিনি। মোহাম্মদ নাঈম ভালো শুরুর আভাস দিলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ৪ বাউন্ডারিতে ১৯ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। একই পথে হেটেছেন আফিফ হোসেনও।

৪২ রান তুলতেই টপ অর্ডারের চার ব্যাটারকে হারিয়ে বিপদে পড়ে টাইগার্সরা। তখন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও শিমরন হেটমায়ার মিলে দলকে টেনে তুলেন। ৪১ রান করে অঙ্কন ফিরলে ভাঙে ৭৩ রানের পঞ্চম উইকেট জুটি। তবে তার বিদায়ের ছাপ পড়েনি রান রেটে। কারণ আরেক প্রান্তে তখন ঝড় তোলেন হেটমায়ার।

২১ বলে প্রথম ২২ রান করেছিলেন হেটমায়ার। অথচ ব্যক্তিগত ফিফটি স্পর্শ করেছেন ২৯ বলে। শেষ পর্যন্ত ৩৩ বলে ৬৩ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। আর শেষদিকে ৫ বলে অপরাজিত ১২ রান করেন হেটমায়ার।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বুলডোজার দিয়ে ভাঙা হচ্ছে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ি

প্রাইভেটকার দুর্ঘটনায় সারজিস আলম আহত

দিনাজপুরের হিলিতে ৫ আগস্ট দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেন পুলিশ সুপার

শেষ ওভারের নাটকীয়তায় ফাইনালে চিটাগং

মাদকের বিরুদ্ধে লড়াই চলছেই

কুড়িগ্রামের উলিপুরে ভ্রাম্যমাণ অভিযানে ইটভাটা বন্ধ ঘোষণা