ভিডিও শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫

যশোরে মাইকে ঘোষণা দিয়ে সংঘর্ষ, আহত ৫

যশোরে মাইকে ঘোষণা দিয়ে সংঘর্ষ, আহত ৫

মাইকে ঘোষণা দিয়ে যশোর সদরের বড় হৈবতপুরে দুই গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এ হামলা চালিয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এসময় ৫ জন গুরুতর জখম হয়েছেন। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছে।

আহতরা হলেন, হৈবতপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি রাজু (৪৪), ৪ নং ওয়ার্ড যুবদলের সম্পাদক শামীম (৩৬), বিএনপি কর্মী জিয়া (৩৫) এবং ৪ নং ওয়ার্ড যুবদলের কোষাধ্যক্ষ পাপ্পু। এছাড়া দুপুর দেড়টার দিকে, এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ ঘরানার শফি নামের একজন নিজেকে আহত দাবি করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসলে হৈবতপুরের বাসিন্দাদের তোপের মুখে পড়েন।

হাসপাতাল চত্বরেই শফিকে মারপিট করে গুরুতর আহত করে স্থানীয়রা। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনায় রেফার করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, চুরামনকাটি ইউনিয়নের আব্দুলপুর গ্রামের বাসিন্দাদের চাষাবাদের জমি রয়েছে হৈবতপুর ইউনিয়নের বড় হৈবতপুর গ্রামের মাঠে। তাদের মধ্যে রয়েছেন চুরামনকাটি ইউপি মেম্বার ও আওয়ামী লীগ নেতা আনিসুর রহমান।

অভিযোগ করা হয়, ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে আনিসুর নিজের জমিতে সেচের পানি দিতেন হৈবতপুর ইউনিয়নের বাসিন্দাদের জমির আইল কেটে। এর প্রতিবাদ করার সাহস ছিলো না কারো। ঠিক একইভাবে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে অন্যের পানি নিজের জমিতে দেয়ার জন্য আইল কেটে দেন আনিসুর সহ তার লোকজন। গ্রামবাসী বিষয়টির প্রতিবাদ করেন। এক পর্যায়ে আনিসুর নিজ এলাকার মসজিদের দুইটি মাইকে ঘোষণা দিয়ে লোকজন ডাক দেয়। কিছু সময়ের মধ্যে ৫০/৬০জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে চলে আসে। 

আরও পড়ুন

অন্যদিকে, বড় হৈবতপুরের গ্রামবাসীরাও সেখানে চলে আসেন। সে সময় দুই গ্রামের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা করেন যুবদল নেতা রাজু। দুই পক্ষের মধ্যে মীমাংসাও হয়ে যায়। এমন সময় আনিসুরের নেতৃত্বে শফিক, তৌহিদ এবং রমজানসহ স্থানীয়রা হৈবতপুরের লোকজনের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় গুরুতর জখম হন ওই চারজন। এসময় হৈবতপুরের আরও লোকজন ছুটে আসলে আনিস মেম্বারের লোকজন চলে যায়। 

হৈবতপুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মাজেদুল ইসলাম জানান, আওয়ামী লীগের শাসন আমলে আনিছ মেম্বার যা ইচ্ছে তা করেছেন। গড়ে তুলেছেন সন্ত্রাসী বাহিনী। তার নেতৃত্বে ডাকাতি, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, হৈবতপুরের মাঠ থেকে সাধারণ মানুষের ফসল তুলে নিয়ে যাওয়া, অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবিসহ নানা ধরনের অপকর্ম সাথে করা হয়। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলো হৈবতপুরবাসী। 

থানায় অভিযোগ দিলেও পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। সরকার পতনের পর থেকে আনিসচক্র আত্মগোপন করে। কিন্তু সম্প্রতি ফের প্রকাশ্যে এসে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে তারা।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডাক্তার মিঠুন কুমার জানান, তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে একজনের মাথায় বেশ কয়েকটি ক্ষত রয়েছে। 

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শিশুটির দাফন সম্পন্ন, ধর্ষণে অভিযুক্তের বাড়িতে জনতার আগুন

শুক্রবার একই ফ্লাইটে কক্সবাজার যাচ্ছেন ড. ইউনূস ও গুতেরেস

ধর্ষণ-নিপীড়নের বিচার দাবিতে ঢাবিতে মশাল মিছিল

বিশ্ব বাজারে সোনার দাম বেড়ে ফের রেকর্ড সর্বোচ্চ

ঢাবির সাবেক উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিক আর নেই

বগুড়ার কাহালুতে একই রাতে আটটি দোকানের ১২ লাখ টাকার মালামাল লুট