ভিডিও মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫

মুক্তিযোদ্ধা কোটায় পুলিশে ১২ বছর চাকরি, অবশেষে গ্রেপ্তার

মুক্তিযোদ্ধা কোটায় পুলিশে ১২ বছর চাকরি, অবশেষে গ্রেপ্তার, ছবি: সংগৃহীত

মফস্বল ডেস্ক: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মুক্তিযোদ্ধার নাতি পরিচয়ে ভুয়া সনদ ব্যবহার করে পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরি নেওয়ার অভিযোগে মো. শেখ সুমন নামে এক পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দীর্ঘ ১২ বছর পর তদন্তে তার প্রতারণার বিষয়টি উদঘাটিত হয়। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারত থেকে দেশে ফিরলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আখাউড়া উপজেলার মোগড়া গ্রামের বাসিন্দা নান্নু মিয়ার ছেলে মো. সুমন ২০১২ সালে পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে চাকরি লাভ করেন। তিনি মুক্তিযোদ্ধার নাতি কোটায় নিয়োগ পাওয়ার জন্য প্রতিবেশী মো. হোসেন মিয়ার মুক্তিযোদ্ধা সনদ দাখিল করেন। তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে, হোসেন মিয়া তার দাদা নন। ২০২৪ সালের ২১ অক্টোবর স্থানীয় যুবক মো. ফরহাদ মিয়া পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তৎকালীন কসবা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. দেলোয়ার হোসেন বিষয়টি তদন্ত করেন। সাক্ষ্য-প্রমাণ পর্যালোচনা শেষে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।প্রতিবেদনে বলা হয়, অভিযুক্ত মো. সুমন ২০১২ সালের ৩ জুলাই ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। তিনি ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পরীক্ষার সময় তার প্রতিবেশী হোসেন মিয়ার মুক্তিযোদ্ধার সনদ ব্যবহার করে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হন। পরবর্তী বিধি মোতাবেক পুলিশ ভেরিফিকেশনের (ভিআর) পর ছয় মাসের মৌলিক প্রশিক্ষণ শেষ করে ২০১৩ সালের ২৯ মার্চ থেকে কনস্টেবল পদে চাকরি করে আসছিলেন।

প্রকৃতপক্ষে মো. সুমনের দাখিল করা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. হোসেন মিয়া (অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য) তার দাদা নন। সুমনের দাদার নাম আলতাফ আলী হোসেন। তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. হোসেন মিয়ার নাতি না হয়েও ইচ্ছাকৃতভাবে অন্যের মুক্তিযোদ্ধা সনদ দাখিল করে পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ পেয়ে যাবতীয় বেতন ও রেশনসহ অন্যান্য সরকারি সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করেছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

আরও পড়ুন

কুমিল্লার বুড়িচং থানায় কর্মরত থাকা কনস্টেবল সুমনের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত চলাকালেই গত বছরের ১ ডিসেম্বর ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণ দেখিয়ে তিনি চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নেন। ২১ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাফফর হোসেন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট এলাকা থেকে মো. সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার (১ মার্চ) বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বগুড়ায় রক্ত দিয়ে ফিরে রক্তাক্ত হলেন ছাত্রদল নেতা ও তার বাবা

উপাচার্যের অপসারণ দাবিতে ববির প্রশাসনিক ভবনে তালা

নওগাঁর আত্রাইয়ে ভটভটি উল্টে চালকের মৃত্যু

মিঠামইনে বজ্রপাতে এক কৃষক নিহত

বগুড়ার শাজাহানপুরে হাটের বাইরে গিয়ে টোল দাবি : ইজারাদারসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা