লালমনিরহাটে উদ্ধার হওয়া মস্তকবিহীন মরদেহের পরিচয় মিলেছে, স্বামী পলাতক

লালমনিরহাট প্রতিনিধি : লালমনিরহাটে ভুট্টাক্ষেত থেকে উদ্ধার হওয়া গৃহবধূর মস্তকবিহীন মরদেহের পরিচয় মিলেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ওসি নুরুননবী। মধ্য বয়সী নিহত ওই গৃহবধূর নাম হাসিনা বেগম। তিনি জেলার আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের দীঘলটারী গ্রামের ভ্যানচালক আশরাফুলের দ্বিতীয় স্ত্রী।

সে ভারতের কুচবিহার জেলার দিনহাটা মহকুমার দড়িবস গ্রামের মৃত কাশেম আলীর মেয়ে। ঘটনার পর থেকে স্বামী আশরাফুল ইসলাম পলাতক রয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গত ৫ মার্চ দুপুরে সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের ফুলগাছ এলাকার একটি ভুট্টাক্ষেত থেকে হাসিনার মাথাবিহীন মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

পরদিন বৃহস্পতিবার বিকেলে পুলিশ ওই গৃহবধূর স্বামীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে রক্তমাখা পোশাক ও ব্যাটারিচালিত ভ্যান উদ্ধার করে। তবে নিহত গৃহবধূর দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন মাথা এখনও  উদ্ধার হয়নি। পলাতক রয়েছে ভ্যানচালক স্বামী আশরাফুল ইসলাম।

লালমনিরহাটে উদ্ধার হওয়া মস্তকবিহীন মরদেহের পরিচয় মিলেছে, স্বামী পলাতক

ভারতের ৫ যুদ্ধবিমান ভূপাতিতের দাবি পাকিস্তানের

দুপচাঁচিয়া তালোড়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমানকে দরখাস্তের দাবিতে শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন

স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক সরকার জানান, নিহত হাসিনা বেগমের স্বামী আশরাফুল ইসলাম চর কুঠীরপার গ্রামের নবাব আলীর ছেলে। নিহত হাসিনার প্রথম স্বামী আশরাফুলের সাথে বিয়ে হলে এক কন্যা সন্তানসহ বিয়ে বিচ্ছেদ হয়। পরে দিঘলটারী গ্রামের নুর ইসলাম নামের এক ব্যক্তির সাথে তার দ্বিতীয় বিয়ে হয়।

সেখানেও এক কন্যা সন্তান হলে দ্বিতীয় স্বামীর সংসার ছেড়ে পুনরায় প্রথম স্বামীর কাছে ফিরে আসে হাসিনা। পরে আবারও হাসিনার এক কন্যা সন্তান হয়। হাসিনা হত্যার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পারিবারিক কলহ ও টাকা পয়সা এবং মাদক সংক্রান্ত বিষয় থাকতে পারে। লালমনিরহাট সদর থানার ওসি নুরুননবী বলেন, হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন ও আসামি গ্রেফতারের চেষ্টা চলমান রয়েছে। শিগিগিরই আসামি পুলিশের জালে আটকা পড়বে বলেও জানান ওসি।