বিশ্বকাপের উইকেট শূণ্য থাকায় ভারতে না আসার হুমকি পান বরুণ
_original_1742055294.jpg)
স্পোর্টস ডেস্ক: ভারতের হয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলার পর তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল বরুণ চক্রবর্তীকে। এমনকি দেশে না ফেরার হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়েছিল, লোকেদের ভয়ে বাড়িতে লুকিয়েও থাকতে হয় তাকে।
আগের দুই মৌসুমে দুর্দান্ত বোলিং করে ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে জায়গা করে নিয়েছিলেন বরুণ। কিন্তু সংযুক্ত আরব আমিরাতে আয়োজিত টুর্নামেন্টে তিন ম্যাচ খেলে উইকেটশূন্য থাকেন তিনি। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪ ওভারে দেন ৩৩ রান। এরপর নিউজিল্যান্ডের বিপরীতে সমান ওভারে ২৩ রান খরচ করেন। স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে আরেক ম্যাচে ৩ ওভারে দেন ১৫ রান। ৫ ম্যাচের দুটিতে হেরে সুপার টুয়েলভ পর্ব থেকে ভারত বিদায় নেয়।
সেই সময় নিয়ে বরুণ সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, '২০২১ (টি-টোয়েন্টি) বিশ্বকাপের পর আমি ফোনে হুমকি পেয়েছিলাম। লোকেরা বলেছিল, "ভারতে এসো না। যদি চেষ্টা করো, পারবে না তুমি।" লোকেরা আমার বাড়ির কাছে এসে আমাকে খুঁজে বের করত এবং মাঝেমধ্যে আমাকে লুকিয়ে থাকতে হতো। যখন আমি বিমানবন্দর থেকে ফিরছিলাম, তখন কিছু লোক তাদের বাইকে আমার পিছনে পিছনে আসছিল।'
পেছন ফিরে তাকিয়ে ৩৩ বছর বয়সী বরুণ আরও বলেন, 'এটা আমার জন্য অন্ধকার সময় ছিল। আমি অবসাদে ছিলাম কারণ আমার মনে হয়েছিল, সাড়া জাগিয়ে বিশ্বকাপের দলে জায়গা পাওয়ার পর নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারিনি।'
'একটা উইকেটও না পাওয়ায় অনুতপ্ত ছিলাম। এরপর তিন বছর দলে জায়গা পাইনি। তো আমার মনে হয়, অভিষেকের পথচলার চেয়েও দলে ফেরাটা কঠিন ছিল।', যোগ করেন বরুণ।
আরও পড়ুন
বরুণ আবার ভারতের জাতীয় দলে ফিরে আসেন ২০২৪ সালে। গত বছরের আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে শিরোপা জেতাতে অবদান রাখেন ২১ উইকেট নিয়ে। এরপর অক্টোবরে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজে ডাক আসে তার। টি-টোয়েন্টি সংস্করণে নিয়মিত হয়ে পরবর্তী ১২ ম্যাচে ৩১ উইকেট নেন তিনি।
কিন্তু ওয়ানডে সংস্করণে হুট করেই ডাক চলে আসে তার। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পূর্বে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠের ওয়ানডে সিরিজে অভিষেক হয় বরুণের। এরপর ভারতের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্কোয়াডের সদস্য যশস্বী জয়সওয়াল যখন চোটে পড়েন, ভারত তার জায়গায় দলে এনে ফেলে বরুণকে।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নবম আসরে প্রথম দুই ম্যাচে খেলার সুযোগ হয়নি বরুণের। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে সুযোগ পেতেই ৫ উইকেট নিয়ে বাজিমাত করে ফেলেন। এরপর সেমিফাইনাল ও ফাইনালে দুটি করে উইকেট নিয়ে শেষ করেন টুর্নামেন্ট। প্রথমবারের মতো পান আইসিসি টুর্নামেন্ট জয়ের স্বাদ।
মন্তব্য করুন