রংপুরের চালের বাজার অস্থির ভোগান্তিতে নিম্ন আয়ের মানুষ

রংপুর জেলা প্রতিনিধি : রংপুরের চালের মোকাম খ্যাত মাহিগঞ্জ ও সিটি বাজারে চালের বাজার এখনও অস্থির হয়ে আছে। গত কয়েকদিনের ব্যবধানে কমপক্ষে ৬ থেকে ৮ টাকা কেজি প্রতি চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। চালের বড় বাজার হিসাবে পরিচিত রংপুরের মাহিগঞ্জে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে চাল বেচাকেনা হয়। শুধু স্থানীয় বাজারে নয়, এলাকার চাল ব্যবসায়ীরা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চাল সরবরাহ করেন প্রতিনিয়ত। বর্তমানে প্রকারভেদে কেজি প্রতি চাল ৬ থেকে ৮ টাকা বৃদ্ধি পাওয়ায় কষ্টে আছে অল্প আয়ের মানুষ।
স্থানীয় চাল ব্যবসায়ীরা জানান, গুটি স্বর্ণা ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এখন ৬০ টাকা। বি আর ২৯ চাল ৬০ টাকা দরে বিক্রি হলেও এখন তা ৭০-৭৫ টাকা ছাড়িয়েছে। বিআর ২৮ চাল কেজি প্রতি ৬০ টাকা থাকলেও তা এখন প্রকারভেদে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা। একইভাবে মিনিকেট চালের বাজারও বেড়ে গেছে। বর্তমানে ৮০-৮৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। যা আগের চেয়ে ৮ থেকে ১০ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে।
স্থানীয় চাল ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী ও সাজু শেখ জানান, চালের দাম বৃদ্ধি খুব স্বাভাবিক। অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধান নেই বলে দাম বাড়িয়েছে। এজন্য অভিযান প্রয়োজন। সিটি বাজারের চাল ব্যবসায়ী বিপ্লব কুমার জানান, রংপুর রাজশাহী বিভাগে বছরের বন্যায় ধানের ক্ষতি হয়েছে। বাজারে চালের চাহিদা থাকলেও জোগান দেয়া সম্ভব হয় না। আগামী ঈদের পরে নতুন ধানের চাল বাজারে আসলেই মূল্য কমবে। বর্তমানে চালের বাজার একটু চড়া যাচ্ছে।
আরও পড়ুনস্থানীয় রিক্সা চালক লাল্টু মিয়া ও মান্না জানান, আমরা কষ্টে আছি। বাজারে গেলে চাল তো কিনতে হবে। বাজারে চালের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় হিমশিম খেতে হচ্ছে। এমনিতেও রমজানে আয় উন্নতি কম। সরকারের ওএমএস কার্যক্রম থাকলেও প্রতিদিন তাদের পাওয়া যায় না। সপ্তাহে একটি এলাকায় একবার তারা চাল আটা দেয় অপরদিকে শহরের অন্য পয়েন্টে চাল কিনতে গেলে লাইনে দাড়ানো অন্য সকলের হুরোহুরিতে দিন মাটি হয়ে যায়।
মন্তব্য করুন