উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের বাবার ওপর হামলা

লক্ষ্মীপুরে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের বাবা আজিজুর রহমান বাচ্চু মোল্লার ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। পরে রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। বাচ্চু মোল্লা ইছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক।
রোববার (৩০ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার নারায়ণপুরের মোল্লার বাড়ির সামনে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার প্রতিবাদ ও জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে রাত সাড়ে ১০টার দিকে রামগঞ্জ শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। পরে মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে রামগঞ্জ থানার সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। এ সময় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার দাবি জানান তারা। অন্যথায় আরও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রোববার বিকেলে জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান মঞ্জু উপজেলার ইছাপুর ইউপির নারায়াণপুর এলাকায় নিজ বাড়িতে আসেন। তিনি হাসিনার পতনের পর থেকে পলাতক ছিলেন। সন্ধ্যার পর এলাকায় মেহেদী হাসান মঞ্জুকে দেখতে পেয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা সাগর হোসেন শুক্কর নেতৃত্বে স্বেচ্ছাসেবক দলের কয়েকজন মিলে তাকে মারধর করার চেষ্টা চালান। এখবর শুনে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের বাবা এগিয়ে এসে বিষয়টি জানতে চান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সাগর হোসেন শুক্কুরসহ কয়েকজন তথ্য উপদেষ্টার বাবাকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। এতে তিনি হাতে আঘাত প্রাপ্ত হয়ে আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
এ ঘটনার জের ধরে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেন। এ ঘটনার পর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ নিয়ে দু-পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
আরও পড়ুনউপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মেহেদী মঞ্জু বলেন, রাজনীতি করে কখনো কারো ক্ষতি করিনি। এরপরও পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। অসুস্থ মাকে দেখতে বিকেলে বাড়িতে যায়। খবর পেয়ে বিএনপির লোকজন বাড়িতে হামলা করে। আমি এর আগেই বাড়ি থেকে বের হয়ে যাই। তখন বাচ্চু কাকা হামলাকারীদের বাধা দিতে গিয়ে হামলার শিকার হন।
এদিকে অভিযুক্ত সাগর হোসেন শক্কুর সঙ্গে গণমাধ্যেমের পক্ষ থেকে বারবার মোবাইল ফোনে চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবুল বাসার বলেন, যারাই এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত। তাদের ছাড় দেয়া হবে না। জড়িতদের ধরতে অভিযান চলছে। পাশাপাশি মামলার প্রস্তুতিও চলছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
মন্তব্য করুন