ধান ক্ষেতে পোকা দমন
বগুড়ার নন্দীগ্রামে জনপ্রিয় হচ্ছে পার্চিং-আলোক ফাঁদ

নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি : নন্দীগ্রাম উপজেলায় ইরি-বোর ধান ক্ষেতের ক্ষতিকর পোকা-মাকড় দমনে পার্চিং-আলোক ফাঁদ পদ্ধতি পরিবেশ ও কৃষি বান্ধব হওয়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ফসলের ক্ষতিকর পোকা-মাকড় দমনে ক্ষেতে কীটনাশকের ব্যবহার কমিয়ে পার্চিং-আলোক ফাঁদ পদ্ধতি ব্যবহারসহ কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছে উপজেলা কৃষি অফিস।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার নন্দীগ্রাম উপজেলায় ১৯ হজার ৮শ’ ৫২ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও চাষাবাদ হয়েছে ১৯ হাজার ৭শ’ ৭০ হেক্টর জমিতে। এবারের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮১ হাজার ৪শ’ ৯০ মেট্রিক টন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার মাঠ জুড়ে সবুজের সমারোহ। ধানগাছ গুলো বড় হয়ে শীষ বের হয়েছে। চলতি মৌসুমের ইরি-বোরো ধানের ক্ষতিকর পোকা-মাকড় দমনে কীটনাশকের বিকল্প ক্ষেতে পার্চিং পদ্ধতি হিসেবে গাছের ডালপালা ও আলোর ফাঁদ পদ্ধতি ব্যবহার করছে কৃষক।
কৃষকরা জানায়, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় কর্তৃক এ ধরণের উদ্যোগ প্রহণের পর সফলতা আসায় ধান ক্ষেতে এসব পদ্ধতির ব্যবহার বাড়ছে। ধান ক্ষেতের প্রধান শক্র কারেন্ট ও মাজরা পোকাসহ বাদামী ঘাস ফড়িং দমনে জমিতে পাচিং ও আলোক ফাঁদ পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে। উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের সিংজানী গ্রামের কৃষক আকবর হোসেন বলেন, ইরি-বোরো ধানের ক্ষেতে পার্চিং ও আলোক ফাঁদ পদ্ধতিতে ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ দমনে সুফল পাচ্ছি। এতে আমাদের উৎপাদন খরচ কম হচ্ছে।
আরও পড়ুনউপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গাজীউল হক জানান, উপজেলায় ১৬টি ব্লক স্থাপন করে সেখানে আলোর ফাঁদ স্থাপন করা হয়েছে। ১৬জন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা এসব ব্লকের দায়িত্ব পালন করছে। এ ফাঁদের মাধ্যমে ইরি-বোরো ধানের জমিতে একদিকে যেমন পোকা-মাকড় দমন হচ্ছে অন্যদিকে জমিতে যেসব ক্ষতিকারক পোকা-মাকড় রয়েছে তা চিহ্নিত করে ওই সব পোকা-মাকড় দমন করতে কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, ধান ক্ষেতের ক্ষতিকারক পোকা-মাকড় দমনে কৃষকরা এসব পদ্ধতি ব্যবহার করে ভালো ফল পাচ্ছেন। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে চাষীদের ধানের ভাল ফলন নিশ্চিত করতে চাষী পর্যায়ে নিয়মিত কৃষক সভা ও উঠান বৈঠক করা হচ্ছে। এবং তাদের তথ্য-পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন